সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পারায় ঘরে তালা দিলো এনজিওকর্মী

ফরিদগঞ্জ সংবাদ ডেস্ক
- আপডেট সময় : ০৯:০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ১৮০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি : এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় কাঁচামাল বিক্রেতার ঘরে তালা দিয়েছে এনজিওকর্মী। ঘরে তালা দেয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকে ঘরে ঢুকতে না পেরে ৪ সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে পরিবারটি।
উপজেলার ১২নং চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পুটিয়া (গ্রামের সওদাগর বাড়ির) রবিবার (৪ জুলাই) সকালে সোপিরেট এনজিও হাইমচর শাখা এনজিওকর্মী কাঁচামাল বিক্রিতা বোরহান সওদাগর এবং তার স্ত্রী গৃহিনী মাকছুদা বেগমের ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী মাকছুদার স্বামী ভোরহান উদ্দিন বলেন, নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করে আসছি। ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছি তারা আর মাত্র ৪৮ হাজার টাকা পাওনা আছে। বৃষ্টির কারণে কাঁচামালে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লস ঘুনতে হচ্ছে তাই গত ২ কিস্তি দিতে দেরি হওয়ার কারণে সোপিরেট এনজিও এর কর্মকর্তা এসে আমার ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। আজ ৩ দিন যাবৎ ঘরে প্রবেশ করতে পারি না। ৪ সন্তান নিয়ে অনাহারে জীবনযাপর করতে হচ্ছে। সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রামের ফিল্ড অফিসার আতিকুর রহমান জানান, মাকসুদা আক্তার ঋনের টাকা দিতে না পারায়,অফিসের নির্দেশে তালা আটকিয়ে দিয়েছি। সোপিরেট ক্রেডিট প্রোগ্রামের এনজিওর শাখার ব্যবস্হাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঋণ গ্রহীতার ঘরে তালা লাগানোর কোনো নিয়ম নেই। এটা পরিস্থিতির কারণে হয়েছে। গ্রাহকরা বলছে তালা লাগিয়ে দিতে।
উপজেলার ১২নং পশ্চিম চরদুখিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান মাষ্টার জানান, এই সংস্থাটি ঋনের টাকা না পেলে আমাকে জানানো উচিত ছিলো। প্রয়োজনে আমি ঋনের টাকা পরিশোধ করে দিতাম, কিন্তু তারা বসতঘরে তালা দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ করতে পারেনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল জানান, বিষয়টি আমি এখন শুনেছি , খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।