ফরিদগঞ্জ ০৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ফরিদগঞ্জে বিএনপি কর্মীদের টানা সড়ক অবরোধ মনোনয়ন বিতর্কে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ, এনডিপির প্রেস ব্রিফিংয়ে তোলপাড় ফরিদগঞ্জ রাজনীতি ‘আমি রোহিঙ্গা হয়ে আসিনি, ফরিদগঞ্জেই আমার জন্ম’ – লায়ন হারুনুর রশিদ চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির নেতৃত্ব সংকট ঘিরে অরাজকতা—এনডিপি চেয়ারম্যানের তীব্র সমালোচনা ফরিদগঞ্জে মাদক মামলা সাক্ষী হওয়ার খেসারত দিতে হলো এক যুবককে ইসলামী ব্যাংকে একচ্চত্র ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বিমানবন্দর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী নেই, কার্যক্রম বন্ধ, তবু চলছে মাদ্রাসার নামে চাঁদা সংগ্রহ ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ শাহনাজের মৃত্যু।। উত্তেজিত জনতার নাসিমার ঘরে আগুন বৃষ্টিতে স্থগিত করা হলো জেলা প্রশাসক কাপের ফাইনাল

ফরিদগঞ্জে সাহাপুরে কালভার্ট নয়, যেন মরণ ফাঁদ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ ৪৮৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা : 

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সাহাপুর থেকে গ্রামীণ বাজারের প্রধান সড়ক গোলা বাড়ির পাশে অবস্থিত কালভার্টটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার লোক যাতায়াত করে। গোলা বাড়ির পাশে খালের ওপর নির্মিত কালভার্টটির শুধু রড আছে, ঢালাই নেই। কালভার্ট পারাপারে প্রতিনিয়তই তারা বিপদে পড়ছেন। পারাপারে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়,গত মার্চ মাসে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় কালভার্টের উপর উঠলে কালভার্টটি ভেঙ্গ যায় কিছু অংশ। পরবর্তীতে আর সংস্কার না করার কারণে এখানে প্রতিনিয়তই কোন না কোনো দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। ঢালাই পড়ে যাওয়ায় রডের ওপর কয়েকটি কাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৩৭ বছর পূর্বে খালটির উপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এটি অনেক পুরানো হয়ে যাওয়াতে গত ৪ মাস আগে থেকে এর ঢালাই ঝরে পড়া শুরু হয়। যার ফলে আজ এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে আমাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। রাস্তা এবং কালভার্ট খারাপ থাকায় এখানে কোনো গাড়ি আসতে পারে না। রোগীকে কাঁধে করে নিতে হয়।

ইউপি সদস্য এমরান হোসেন বলেন, ‘সত্যি এটি একটি মরণ ফাঁদ। কালভার্টটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য আপাতত কাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেছি,দ্রুত সময় নতুন করে কালভার্ট করার জন্য।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫-০২-২০২০ সালে কালভার্ট নির্মাণ জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে সাহাপুরে কালভার্ট নয়, যেন মরণ ফাঁদ

আপডেট সময় : ১০:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

বিশেষ সংবাদদাতা : 

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সাহাপুর থেকে গ্রামীণ বাজারের প্রধান সড়ক গোলা বাড়ির পাশে অবস্থিত কালভার্টটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,প্রতিদিন স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং নানা শ্রেণি-পেশার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার লোক যাতায়াত করে। গোলা বাড়ির পাশে খালের ওপর নির্মিত কালভার্টটির শুধু রড আছে, ঢালাই নেই। কালভার্ট পারাপারে প্রতিনিয়তই তারা বিপদে পড়ছেন। পারাপারে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়স্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়,গত মার্চ মাসে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে একটি ট্রাক যাওয়ার সময় কালভার্টের উপর উঠলে কালভার্টটি ভেঙ্গ যায় কিছু অংশ। পরবর্তীতে আর সংস্কার না করার কারণে এখানে প্রতিনিয়তই কোন না কোনো দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। ঢালাই পড়ে যাওয়ায় রডের ওপর কয়েকটি কাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় ৩৭ বছর পূর্বে খালটির উপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এটি অনেক পুরানো হয়ে যাওয়াতে গত ৪ মাস আগে থেকে এর ঢালাই ঝরে পড়া শুরু হয়। যার ফলে আজ এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে আমাদের অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। রাস্তা এবং কালভার্ট খারাপ থাকায় এখানে কোনো গাড়ি আসতে পারে না। রোগীকে কাঁধে করে নিতে হয়।

ইউপি সদস্য এমরান হোসেন বলেন, ‘সত্যি এটি একটি মরণ ফাঁদ। কালভার্টটির উপর দিয়ে চলাচলের জন্য আপাতত কাট দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেছি,দ্রুত সময় নতুন করে কালভার্ট করার জন্য।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫-০২-২০২০ সালে কালভার্ট নির্মাণ জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।