ফরিদগঞ্জে কৃষক বাঁচাতে বিদ্যালয় মাঠে আমনের বীজতলা
- আপডেট সময় : ০৩:০১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
বাণের জল প্রবেশ না করলেও অব্যাহত ভারী বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এখনো পানির নীচে ফরিদগঞ্জের ফসলের মাঠ। চলছে আমনের মৌসুম। ঘরে থাকা বীজ ধান নষ্ট হয়ে গেলেও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বীজ উপহার দিয়ে পাশে দাড়িয়েছে। কিন্তু বীজতলা তৈরীর মত এক টুকরো মাঠের সন্ধানে কৃষকের কপালে পড়া দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ দূর করার উপায় ছিলো না কারো কাছে। কৃষকের সে দুঃশ্চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এলেন এক ঝাঁক শিক্ষক-শিক্ষার্থী। নিজেদের খেলার মাঠকে দিয়ে দিলেন কৃষকের আমনের বীজতলা তৈরীতে। চিত্রটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। দূর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনের এ উদ্যোগকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন উপজেলাবাসী।
স্কুল মাঠে বীজতলা প্রস্তুতকারী কৃষকদের একজন মোবারক হোসেন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দুইবার আমাদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মাঠে আমরা বীজতলা তৈরী করেছি। বীজতলা তৈরী না করা গেলে একদিকে আমন উৎপাদন ব্যাহত হতো। অন্যদিকে আমদের না খেয়ে থাকতে হতো। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক একেএম সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতায় কৃষকদের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের অনুরোধে প্রেক্ষিতে মাঠে বীজতলা তৈরীর সুযোগ দিয়েছি। আশা করি এতে কৃষকরা এবং এলাকাসী উপকৃত হবে।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, এ বছর আমাদের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৮৩৭৩ হেক্টর। জলাবদ্ধতায় লক্ষমাত্রা অর্জনের বিষয়ে আমরা শঙ্কিত। চেষ্টা করছি লক্ষমাত্রার কাছিকাছি পৌঁছতে। বীজতলা প্রস্তুত করার উপযোগী মাঠ না থাকায় স্কুল মাঠে বীজতলা তৈরীর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে কিছু জানেননা বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি বলেন আমরা কি এ ধরনের কাজের অনুমতি দিতে পারি?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, সিজন চলে যাচ্ছে। যেহেতু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক যাবে কোথায়? তাদেরকেতো আমাদের হেল্প করতে হবে।