গৃদকালিন্দিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০২:০১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জ উপজেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজে গত দেড় দশক ধরে কলেজ প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা সদস্যদের স্বীকৃতি না দেয়া, তাদের নামাঙ্কিত অনার বোর্ড ফেলে দেয়া, অনিয়ম দূর্নীতি প্রশয় দেয়াসহ সকল বৈষম্য দুরীকরণের দাবিতে মানববন্ধন ও কলেজের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) কলেজের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা কালিন সদস্য হিসেবে বর্তমান বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো: হারুনুর রশিদ ভুমিকা রাখেন । এসময় তিনি নিজের ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বিশালাকার কলেজের দ্বিতল ভবন নির্মাণে সহায়তা করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অনুদান প্রদান করেন। সংসদ সদস্য থাকাকালিন সময়েও সরকারি অনুদান প্রদান করেন। কিন্তু গত দেড় দশকে আওয়ামী শাসনামলে তার সকল কিছুই সরিয়ে ফেলা হয়। এছাড়া একটি চক্র কলেজে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিকে প্রশয় দিয়ে অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটায়।
এসব কারণে মঙ্গলবার স্থানীয় লোকজন, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোক কলেজের সামনে সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদকে তার সম্মান ফিরিয়ে দেয়া , কলেজের সকল অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরে তারা কলেজে শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল খান, বিএনপি নেতা সেলিম পাটওয়ারী, জামাল খান, জাকির পাটওয়ারী, মাসুদ খান বাচ্চু এবং কলেজ শিক্ষক পরিষদের পক্ষে দেলোয়ার হোসেন। এসময় বক্তারা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আগামীতে বাস্তবসম্মত কলেজ গর্ভনিং বডি গঠন ও সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদকে সভাপতি করার দাবি জানান।
এব্যাপারে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো: হারুনুর রশিদ মুঠো ফোনে বলেন, কলেজটি প্রতিষ্ঠায় অনেকের মতো আমারও অবদান রয়েছে। কিন্তু গত দেড় দশকে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার নাম ও আমার বাবার নাম মুছে ফেলা হয়। যা মোটেও সুখকর নয়। এসব বৈষম্য দুর হওয়া প্রয়োজন।