ফরিদগঞ্জ ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘পিঠা উৎসব’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ ৩০০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘পিঠা উৎসব’

খাদিজা তাসনীম : পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করে ‘ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন’র উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অংশগ্রহণে আয়োজিত হলো ‘পিঠা উৎসব’-২০২৩।

১৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ফরিদগঞ্জ উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুর নেছা’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নূরন্নবী নোমান’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, কুমিল্লা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক তারেক হোসেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তসলিম আহমেদ, মাজুদা বেগম, অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবরার আহ্মেদ, এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সূধীজন।

করোনার প্রকোপ কাটিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর আবার আয়োজন হলো পিঠা উৎসবের। অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান ওঠার পর সেগুলো গোলাবন্দি করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। এই কর্মব্যস্ত সময়ে গ্রামীণ মানুষের শখ করার সময়টুকু থাকে না। নবান্নের পর জাঁকিয়ে শীত পড়লে পৌষসংক্রান্তিতে পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়।বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। পিঠা-পায়েস সাধারণত শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসাবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম শীতকালেই বেশি পড়ে তার-ই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের নানা ধরণের পিঠা তৈরী করে প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা, ম্যারা পিঠা, নকশি পিঠাসহ নানান পদের পিঠা।

পিঠা উৎসব-২০২৩ এর সেরা তিনটি স্টলকে পুরষ্কার এবং অংশগ্রহণকারী পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পিঠা উৎসবে ১ম স্থান অর্জন করে,উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর, ২য় স্থান উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা এবং ৩য় স্থান লাকী আক্তারের স্টল।

পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী দপ্তর গুলো হলো,ফরিদগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা, মৎস অধিদপ্তর,লাকী আক্তার, ফরিদগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো অনেকেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘পিঠা উৎসব’

আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘পিঠা উৎসব’

খাদিজা তাসনীম : পিঠা-পুলি আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই প্রকাশ। বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ করে ‘ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন’র উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অংশগ্রহণে আয়োজিত হলো ‘পিঠা উৎসব’-২০২৩।

১৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ফরিদগঞ্জ উপজেলা চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুর নেছা’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা ক্রিয়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নূরন্নবী নোমান’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, কুমিল্লা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক তারেক হোসেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তসলিম আহমেদ, মাজুদা বেগম, অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবরার আহ্মেদ, এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল, প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সূধীজন।

করোনার প্রকোপ কাটিয়ে দীর্ঘ বিরতির পর আবার আয়োজন হলো পিঠা উৎসবের। অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান ওঠার পর সেগুলো গোলাবন্দি করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। এই কর্মব্যস্ত সময়ে গ্রামীণ মানুষের শখ করার সময়টুকু থাকে না। নবান্নের পর জাঁকিয়ে শীত পড়লে পৌষসংক্রান্তিতে পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়।বাঙালির লোকজ ইতিহাস-ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। পিঠা-পায়েস সাধারণত শীতকালের রসনাজাতীয় খাবার হিসাবে অত্যন্ত পরিচিত এবং মুখরোচক খাদ্য হিসাবে বাঙালি সমাজে আদরণীয়। আত্মীয়স্বজন ও পারস্পরিক সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় ও মজবুত করে তুলতে পিঠা-পুলির উৎসব বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠা-পায়েস তৈরির ধুম শীতকালেই বেশি পড়ে তার-ই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের নানা ধরণের পিঠা তৈরী করে প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধচিতই, ছিট পিঠা, দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠা, ম্যারা পিঠা, নকশি পিঠাসহ নানান পদের পিঠা।

পিঠা উৎসব-২০২৩ এর সেরা তিনটি স্টলকে পুরষ্কার এবং অংশগ্রহণকারী পুরষ্কার প্রদান করা হয়। পিঠা উৎসবে ১ম স্থান অর্জন করে,উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর, ২য় স্থান উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা এবং ৩য় স্থান লাকী আক্তারের স্টল।

পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণকারী দপ্তর গুলো হলো,ফরিদগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন সংস্থা, মৎস অধিদপ্তর,লাকী আক্তার, ফরিদগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো অনেকেই।