ফরিদগঞ্জ ০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে বসতঘরে প্রবেশ করে গৃহবধকে ধর্ষন চেষ্টায় আদালতে মামলা

আব্দুল কাদের
  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে

 

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দের গাওয়ে বসতঘরে প্রবেশ করে দুই সন্তানের জনণীকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় মাসুদ হোসেন এর স্ত্রী আয়শা আক্তার সেতু বাদী হয়ে চাঁদপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করেন।
আদালতে অভিযোগের সূত্রে ও সরজমিনের তথ্যমতে জানাযায়, ১৫ এপ্রিল রাতে আয়শা আক্তার সেতু ঘুমাতে গেলে কেউ একজন তার অগোচরে তাকে   ধর্ষনের চেষ্টা করতেছে অনুভব হলে তিনি ডাকচিৎকার করতে থাকেন, তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেসিরা এগিলে  প্রতিবেসী একই বাড়ীর আবুল বাশারের ছেলে জিহাদ পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী আয়শা আক্তার সেতু বলেন, আমার স্বামী ভাঙ্গারী ব্যবসা করেন। তিনি দোকান থেকে আসতে  একটু রাত হয়ে যায়,   প্রতিদিনের মত আমি আমার দুই সন্তানদের নিয়ে  ১৫এপ্রিল  রাতে ঘুমাতে যাই, আনুমানিক রাত ৯:০০ থেকে ৯:৩০ ঘটিকার সময় কেউ একজন আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তখন আমার অনূভব হয় যে, সে আমার স্বামী না। আমার স্বামীর মুখে দাড়ি আছে এর মুখে দাড়ি নাই , তখন আমি ভয়ে চিৎকার দিতে থাকি। এরপর আমার আর জ্ঞান নেই।

ভুক্তভোগীর স্বামী মাসুদ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি বাড়িতে আসলে দেখি আমার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, তার জ্ঞান ফেরার পর তার সাথে কথা বলে জানতে পারি আমাদের একই বাড়ির সম্পর্কে ভাতিজা আবুল বাশারের ছেলে জিহাদ আমার ঘরে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমি এলাকার গণ্যমান্য এমনকি মেম্বারকে পর্যন্ত জানাই তারা বিচার করে দিবে বলে সময় নষ্ট করতে থাকলে আমি বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হই। নাম প্রকাশ নাকরার সূত্রে স্থাণীয় কয়েকজন বাসিন্ধা জানান, জিহাদ হোসেন পূর্ব থেকেই এলাকায় চুরি, ইভটিজিংয়ের মত ভয়াবহ অপরাধ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে  একাধিকবার শালিশ করতে হয়েছে, এবার তার শাস্তি হওয়া উচিত।

এবিষয়ে অভিযুক্ত জিহাদ হোসেন এর বাড়িতে গেলে তাকে আহত অবস্থায় বিচানায় শুয়ে থাকতে দেখাযায়,  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিহাদ হোসেন বলেন, তাদের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ আছে, সেই বিরোধের জের ধরে তারা আমাদের উপর হামলা করে, হামলায় আমার মায়ের মাথা ফেটে যায়, আমার পা ভেঙ্গে যায়। আমরা থানায় অভিযোগ করলে তারা উল্টো আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে  অভিযোগ করে।
স্থাণীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহীম মৃধা জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের কথা শুনেছি, স্থাণীয়ভাবে তারা মীমাংসার কথা ছিল । পরে আবার অপর পক্ষের ২জন আহত হয়। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় ও আদালতে মামলা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে বসতঘরে প্রবেশ করে গৃহবধকে ধর্ষন চেষ্টায় আদালতে মামলা

আপডেট সময় : ০৮:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

 

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের গাব্দের গাওয়ে বসতঘরে প্রবেশ করে দুই সন্তানের জনণীকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় মাসুদ হোসেন এর স্ত্রী আয়শা আক্তার সেতু বাদী হয়ে চাঁদপুর জেলা দায়রা জজ আদালতে অভিযোগ করেন।
আদালতে অভিযোগের সূত্রে ও সরজমিনের তথ্যমতে জানাযায়, ১৫ এপ্রিল রাতে আয়শা আক্তার সেতু ঘুমাতে গেলে কেউ একজন তার অগোচরে তাকে   ধর্ষনের চেষ্টা করতেছে অনুভব হলে তিনি ডাকচিৎকার করতে থাকেন, তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেসিরা এগিলে  প্রতিবেসী একই বাড়ীর আবুল বাশারের ছেলে জিহাদ পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী আয়শা আক্তার সেতু বলেন, আমার স্বামী ভাঙ্গারী ব্যবসা করেন। তিনি দোকান থেকে আসতে  একটু রাত হয়ে যায়,   প্রতিদিনের মত আমি আমার দুই সন্তানদের নিয়ে  ১৫এপ্রিল  রাতে ঘুমাতে যাই, আনুমানিক রাত ৯:০০ থেকে ৯:৩০ ঘটিকার সময় কেউ একজন আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। তখন আমার অনূভব হয় যে, সে আমার স্বামী না। আমার স্বামীর মুখে দাড়ি আছে এর মুখে দাড়ি নাই , তখন আমি ভয়ে চিৎকার দিতে থাকি। এরপর আমার আর জ্ঞান নেই।

ভুক্তভোগীর স্বামী মাসুদ বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি বাড়িতে আসলে দেখি আমার স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, তার জ্ঞান ফেরার পর তার সাথে কথা বলে জানতে পারি আমাদের একই বাড়ির সম্পর্কে ভাতিজা আবুল বাশারের ছেলে জিহাদ আমার ঘরে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমি এলাকার গণ্যমান্য এমনকি মেম্বারকে পর্যন্ত জানাই তারা বিচার করে দিবে বলে সময় নষ্ট করতে থাকলে আমি বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হই। নাম প্রকাশ নাকরার সূত্রে স্থাণীয় কয়েকজন বাসিন্ধা জানান, জিহাদ হোসেন পূর্ব থেকেই এলাকায় চুরি, ইভটিজিংয়ের মত ভয়াবহ অপরাধ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে  একাধিকবার শালিশ করতে হয়েছে, এবার তার শাস্তি হওয়া উচিত।

এবিষয়ে অভিযুক্ত জিহাদ হোসেন এর বাড়িতে গেলে তাকে আহত অবস্থায় বিচানায় শুয়ে থাকতে দেখাযায়,  অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিহাদ হোসেন বলেন, তাদের সাথে আমাদের সম্পত্তিগত বিরোধ আছে, সেই বিরোধের জের ধরে তারা আমাদের উপর হামলা করে, হামলায় আমার মায়ের মাথা ফেটে যায়, আমার পা ভেঙ্গে যায়। আমরা থানায় অভিযোগ করলে তারা উল্টো আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে  অভিযোগ করে।
স্থাণীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহীম মৃধা জানান, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের কথা শুনেছি, স্থাণীয়ভাবে তারা মীমাংসার কথা ছিল । পরে আবার অপর পক্ষের ২জন আহত হয়। এঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় ও আদালতে মামলা করেছে।