ফরিদগঞ্জের মানুষের অসম্মান অপমান এবং নানাভাবে তাদের অধিকার হরনের বিরূদ্ধে আমি ঈগল মার্কা প্রতীক নিয়ে এসেছি। মাতৃকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বিজিএফ কার্ডের সুবিধাভোগীদের যারা হুমকি দিচ্ছেন আমি স্পষ্ট ভাবে বলতে চাই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই ধরনের কোন অপকর্ম ফরিদগঞ্জের মাটিতে কেউ চালাতে পারবে না। এই ধরনের সুবিধা কারো বাপের টাকায় দেয়া হয় না। এইসব সুবিধা দেয়া হয় জনগনের ট্যাক্সের টাকায়। আমার নির্দেশে আমার জানামতে কারো বিরূদ্ধে মামলা করা হয়নি। কিন্তু দলের লোকের বিরূদ্ধে, অপর দলের লোকের বিরূদ্ধে যে সকল গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে এইসব গায়েবি মামলা রাজনৈতিক হয়রানি মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে এই ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করবো। বিএনপি-জামাতের ভাইয়েরা, আমার ইঙ্গিতে বা নির্দেশে কোন মামলা হয়নি। খেলা পাইছেন…আপনাদের বাপের জমিদারি, ফরিদগঞ্জে অন্য কেউ থাকতে পারবে না। আমি বিজয়ী হলে এধরনের কাজ যারা করেন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিকার ব্যবস্থা নেয়া হবে। তুই বিএনপি, তুই জামাত, তুই ভূঁইয়ার লোক এধরনের কথা যারা বলে তারা সাবধান। সুস্থ ভোটের মাধ্যমে যাতে জনগন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে আমরা সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারী) বিকেলে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কথাগুলো বলেছেন চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: হারুনুর রশিদ সাগর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্মসম্পাদক আলমগীর হোসেন, আরিফুর রহমান আজাদ, সদস্য কামাল মিজি, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসকান্দার মিয়া, রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য জহিরুল ইসলাম, রুহুল আমিন রুবেল প্রমুখ।