ফরিদগঞ্জ ০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গৃদকালিন্দিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধন ফরিদগঞ্জে টিসিবির কার্ড বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যানের চালবাজী  ফরিদগঞ্জ-রুপসা-খাজুরিয়া সড়কে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান ফরিদগঞ্জে বন্যায় দুর্গত মানুষের মাঝে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  ফরিদগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার ও পদত্যাগের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঢাকার উত্তরখানের হত্যা মামলায় আসামী হলেন ফরিদগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পলাতক প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ফরিদগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে লায়ন আল-আমিন ফাউন্ডেশনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ফরিদগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি মানুষের হাহাকার ফরিদগঞ্জে টানা বর্ষণে দূর্বিসহ জনজীবন ॥ বিপাকে মৎস্যচাষীরা

ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়রের জুলুমবাজ ও অত্যাচারী অধ্যায়ের সমাপ্তি 

শামীম হাসান
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জে অত্যাচারী ও জুলুমবাজ পৌর মেয়য়ের অপসারণের গঠনায় পৌরবাসী সহ সমগ্র উপজেলা উপজেলাবাসী মনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুব আলমের স্বাক্ষরিত স্থানীয় সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সারাদেশে ৩২৩ জন মেয়রের অপসারনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রজ্ঞাপনে ফরিগঞ্জ পৌরসভার ফ্যাসিস্ট মেয়রের অপসারনের খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ পৌরবাসির স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে দেখা গেছে। এ ঘোষণার পর  ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিরতরণ করা হয়েছে।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির কারনে তার কাছে সাধারণ মানুষ ছিল মূল্যহীন। বার্ষিক লাইসেন্সের নামে দরিদ্র অটোচালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়। পূর্বে পৌরসভার মাস্টাররুলে চাকরি করা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য ও দলীয় ক্যাডারদের চাকরি প্রধান করা ও তুচ্ছ কারণে পৌরসভার স্টাফদের গায়ে হাত তোলার বিষয় ছিলো তার নিত্যদিনের ঘটনা। পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প থেকে চাঁদা আদায় এবং  অবৈধভাবে নিজের মেয়ে নাজমুন নাহার অনিকে দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করাতেন অহরহ। ফরিদগঞ্জ বাজার ও  বাসস্ট্যান্ডের ইজারার নামে করতেন লুটপাট। কন্ট্রাক ভিত্তিক শালিশ বাণিজ্য করা এবং নিজ বাড়ির কাজের লোকদের বেতনের টাকা পৌরসভার পান্ড থেকে দেয়ার মতো কান্ড ঘটিয়েছেন এই মেয়র। শুধু তাই নয়, মতের অমিল হলে যাকে তাকে পৌরসভা এবং তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতনও চালাতেন তিনি।
এলাকার ভদ্র এবং নিরীহ মানুষকে রাজাকারের সন্তান বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ছিল তার প্রতিদিনের কাজের রুটির অংশ। গত কয়েক বছরে ফরিদগঞ্জের বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তার অপকর্ম তুলে ধরায় চরমভাবে নাজেহাল করেছেন তাদের। তার অনিয়মের এক সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলার সিনিয়র এক সাংবাদিককে রাজাকারের বংশধর আখ্যায়িত করে ঐ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে পৌরসভার স্টাফদেরকে দিয়ে ঝাড়ু মিছিল করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন ফ্যাসিস্ট এই মেয়র। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরিতেও তিনি ছিলেন সরব, মোটা অংকের টাকা খেয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেতে সহায়তা করা এবং ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে চাঁদা নিয়েছেন তিনি।
অত্যাচারী ও জুলুমবাজ এই পৌর মেয়রের দোষর হিসেবে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দিয়ে চাঁদাবাজি সহ নানামুখী অপকর্ম চালাতেন তিনি। তার অপকর্মের মূল হাতিয়ার হিসেবে পৌরসভার মাস্টাররুলে চাকরি করা স্টাফদের ব্যাবহার করতেন। তার নানামুখী অপকর্মের প্রধান দোষর ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা এলাকার বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন ছিলেন জুলুমবাজের মূল হাতিয়ার। এমনকি বার্ষিক অটো লাইসেন্স তৈরির প্রক্রিয়ায় প্রতি অটো চালকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার ও এলাকায় স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়রের জুলুমবাজ ও অত্যাচারী অধ্যায়ের সমাপ্তি 

আপডেট সময় : ০৪:৪৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
ফরিদগঞ্জে অত্যাচারী ও জুলুমবাজ পৌর মেয়য়ের অপসারণের গঠনায় পৌরবাসী সহ সমগ্র উপজেলা উপজেলাবাসী মনে স্বস্তি বিরাজ করছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মো. মাহবুব আলমের স্বাক্ষরিত স্থানীয় সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সারাদেশে ৩২৩ জন মেয়রের অপসারনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর প্রজ্ঞাপনে ফরিগঞ্জ পৌরসভার ফ্যাসিস্ট মেয়রের অপসারনের খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ পৌরবাসির স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে দেখা গেছে। এ ঘোষণার পর  ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিরতরণ করা হয়েছে।
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির কারনে তার কাছে সাধারণ মানুষ ছিল মূল্যহীন। বার্ষিক লাইসেন্সের নামে দরিদ্র অটোচালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়। পূর্বে পৌরসভার মাস্টাররুলে চাকরি করা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য ও দলীয় ক্যাডারদের চাকরি প্রধান করা ও তুচ্ছ কারণে পৌরসভার স্টাফদের গায়ে হাত তোলার বিষয় ছিলো তার নিত্যদিনের ঘটনা। পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্প থেকে চাঁদা আদায় এবং  অবৈধভাবে নিজের মেয়ে নাজমুন নাহার অনিকে দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করাতেন অহরহ। ফরিদগঞ্জ বাজার ও  বাসস্ট্যান্ডের ইজারার নামে করতেন লুটপাট। কন্ট্রাক ভিত্তিক শালিশ বাণিজ্য করা এবং নিজ বাড়ির কাজের লোকদের বেতনের টাকা পৌরসভার পান্ড থেকে দেয়ার মতো কান্ড ঘটিয়েছেন এই মেয়র। শুধু তাই নয়, মতের অমিল হলে যাকে তাকে পৌরসভা এবং তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতনও চালাতেন তিনি।
এলাকার ভদ্র এবং নিরীহ মানুষকে রাজাকারের সন্তান বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ছিল তার প্রতিদিনের কাজের রুটির অংশ। গত কয়েক বছরে ফরিদগঞ্জের বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তার অপকর্ম তুলে ধরায় চরমভাবে নাজেহাল করেছেন তাদের। তার অনিয়মের এক সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলার সিনিয়র এক সাংবাদিককে রাজাকারের বংশধর আখ্যায়িত করে ঐ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে পৌরসভার স্টাফদেরকে দিয়ে ঝাড়ু মিছিল করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন ফ্যাসিস্ট এই মেয়র। ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরিতেও তিনি ছিলেন সরব, মোটা অংকের টাকা খেয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেতে সহায়তা করা এবং ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে চাঁদা নিয়েছেন তিনি।
অত্যাচারী ও জুলুমবাজ এই পৌর মেয়রের দোষর হিসেবে ছাত্রলীগের ক্যাডারদের দিয়ে চাঁদাবাজি সহ নানামুখী অপকর্ম চালাতেন তিনি। তার অপকর্মের মূল হাতিয়ার হিসেবে পৌরসভার মাস্টাররুলে চাকরি করা স্টাফদের ব্যাবহার করতেন। তার নানামুখী অপকর্মের প্রধান দোষর ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের দায়চারা এলাকার বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হোসেন ছিলেন জুলুমবাজের মূল হাতিয়ার। এমনকি বার্ষিক অটো লাইসেন্স তৈরির প্রক্রিয়ায় প্রতি অটো চালকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়ার ও এলাকায় স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।