ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে হামলা।। থানায় অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪৪৯ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে হামলা নারী নির্যাতন, হত্যা চেষ্টা এবং গরু ও ছাগলের ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের রগুনাথপুর গ্রামের স্থানীয়দের কাছে রবনের বাড়ি নামে পরিচিত তপাদার বাড়িতে গঠনাটি ঘটে৷ হামলার পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মোঃ শরিফ হোসেন বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন।
হামলার শিকার ভুক্তভোগী রুবি আক্তার (২৫) জানান, গতকাল রাতে আমার চাচতো দেবর মানিক সহ কয়েকজন আমাদের গরুর ঘর ছাগলের ঘর ভাংচুর করে এবং গাছ তুলে ফেলে। ভাংচুরের বিষয়টির টের পেয়ে আমি আমার শাশুড়ী ও আমার বড় জা সুমি বেগম সহ ঘর থেকে বের হলে আমার উপর বেদম ভাবে হামলা করে আমার গায়ে থাকা জামা ছিড়ে ফেলে এবং আমার হাতে কামড় বসিয়ে দেওয়া সহ আমার মাথা ও আমার দেহের বিভিন্ন অংশে গুরুতর ভাবে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই।
হামলার শিকার অপরজন সুমি বেগম (২৮) এই প্রতিবেদকেকে জানান, মানিক- সোহাগ গং-রা গতকাল আমার শশুরের গরুর ছাগলের ঘর ভাংচুর করতে দেখে আমি আমার শাশুড়ি ও আমার ছোট জা সহ ঘর থেকে বের হয়ে তাদের ভাংচুর ভিডিও করছিলাম এমন সময় আমার হাতে থাকা মোবাইলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে কয়েকজন মহিলা এসে আমাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং আমার ছোট জা রুবি আক্তারের চুল ধরে মাটিতে ফেলে নির্মম ভাবে নির্যাতন চালায়।
এবিষয়ে হামলার শিকার হওয়া সুমি বেগম ও রুবী আক্তারের শশুর আব্দুল কুদ্দুস জানান, জোর পূর্বক ভাবে সম্পত্তি দখলের জন্য মানিক সহ তার পরিবারের সদস্যরা আমার পরিবারের উপর হামলা চালায় এবং আমার পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকা ফল গাছ তুলে ফেলে৷ দখলকৃত সম্পত্তি তিনি কেন দখল করে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানিক তাদের বিল্ডিং করার সময় আমাদের সম্পত্তির উপর সীমানা দিয়ে ঘর করে। পরে ঘরোয়া ভাবে মুরব্বিরা সম্পত্তি এজবদলের সিদ্ধান্তে মানিকরা আমাদের সম্পত্তির উপর ঘর তোলে এবং আমরা অপর দিক দিয়ে তাদের পূর্বমালিকানা সম্পত্তি ভোগ করে আসছিলাম।
অভিযুক্ত মানিক হোসেন (৩৮) হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবার সম্পত্তি দীর্ঘদিন তারা দখল করে ভোগ করে আসছিলো, পূর্বে এবিষয়ে কথা-কাটাকাটি হলে বিষয়টির সমাধানের জন্য স্থানীয় সাল্লিসি বৈঠক বসেন এবং সাল্লিসি বৈঠকের এক মাসের মধ্যে জায়গা খালি করে দেয়ার নির্দেশ দিলেও আজ একবছর বেশি সময় পার হলেও তারা সম্পত্তি দখল করে আছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরাম এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের আলোকে আমি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার সত্যতা পেয়েছি।