ফরিদগঞ্জে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলায় বিপাকে প্রবাস-ফেরতরা
- আপডেট সময় : ০৬:২১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪০৯ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছে শত শত প্রবাসী । জেলার অন্যান্য উপজেলা তুলনায় ফরিদগঞ্জ উপজেলায় প্রবাসীর সংখ্যা বেশি। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুগ্ম সচিব খোন্দকার মো. রুহুল আমিন সাক্ষরিত প্রেরিত এক নোটিশে বিদেশ ফেরত প্রবাসী যুবদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয় । নোটিশের বর্ণনায় বলা আছে, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কতৃক বাস্তবায়নাধীন বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট ( Recovery and Advancement of informal sector Employment ) শীর্ষক প্রকল্পে বিদেশ ফেরত যুবদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য তথ্য প্রয়োজন। ২৪ আগষ্ট স্বাক্ষরিত নোটিশে ৯ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে সফট কপি ইমেলে প্রেরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নোটিশ প্রাপ্তির পর অন্যান্য উপজেলা থেকে প্রবাসীদের তালিকা করার বিষয়ে মাইকিংসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার – প্রচারণা এবং ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রে নোটিশ আকারে দেওয়া হলেও ফরিদগঞ্জে এর চিত্র পুরো উল্টো, এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে কোন ধরণের প্রচার- প্রচারণা করা হয়নি। এমনকি নোটিশ প্রেরণ করা হয়নি বলে অনেক ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত কর্মকর্তারা কিংবা কেউই এ বিষয়ে কোন তথ্য জানেনও না ।
অন্যান্য উপজেলায় তালিকা করা হচ্ছে খবর পেয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কয়েকজন প্রবাসী নিজ উপজেলা ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এসে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর একজন দুজন থেকে বিষয়টি বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রবাস ফেরত অনেকের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কাগজ পত্র জমা দিতে আসা শত শত প্রবাসীদের উপছেপড়া ভীড় লক্ষ করা যায়।
তথ্য জমা দিতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হলে এই প্রতিবেদককে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মাইকিং অথবা ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে যদি তাদের বিষয়টি জানানো হতো, কিংবা তারা জানতে পারতো, তাহলে তারা তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র জমা দিতে পারতো। যখন জানতে পারলো তখন তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তির সময়সীমা শেষ। তথ্য জমা দিতে আসা অন্য কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, কাগজ পত্র জমা দেওয়ার সময় তো অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে, সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমাদের নামের তালিকা বা কাজপত্রগুলো পৌঁছাবে কিনা তা অনিশ্চিত হয়েও এখন আমরা নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিচ্ছি৷
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. মেজবাউদ্দিন এর কাছে বিষয়েটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পূর্বের কর্মস্থল থেকে গত ২৯ আগষ্ট ফরিদগঞ্জ অফিসে যোগদান করি। নতুন যোগদান করায় , জনবল সংকট এবং সময় সল্পতার কারনে প্রচার কাজ করা সম্ভব হয়নি । নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও এখন যেসকল প্রবাসফেরত লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিতে আসছেন আমরা এখনও তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিচ্ছি, কতৃপক্ষ চাইলে প্রেরণ করবো।