ফরিদগঞ্জে ফুটপাতে ২০ টাকায় শীতের পোশাক বিক্রির ধুম
- আপডেট সময় : ০৭:১০:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ২৫৪ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জ উপজেলাজুড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। পৌষের শুরুর শীত কাটিয়ে শেষের দিকে এসে তীব্রতা বেড়েছে, সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন কুয়াশা। আর শীত বাড়ার সাথে সাথে ফুটপাতে চলছে শীতবস্ত্রের জমজমাট বেচাকেনা। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষসহ প্রায় সকল শ্রেণি পেশার মানুষ ফুটপাত বাজারগুলো থেকে শীতের কাপড় কিনছে। ফলে ফুটপাতের দোকান গুলোতে শীতের পোশাক বিক্রির ধুম পড়েছে।
শীতের পোশাকের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে, সামনের দিকে চেইন বা বোতাম দেয়া সোয়েটার বা জ্যাকেট, গোল গলা, ভি গলা, চিকন কলারের সোয়েটার, টি-শার্ট, কাপড়ের জুতা, জ্যাকেট, ব্লেজার ইত্যাদি। আরো ছিল কাটুন চরিত্রের বাচ্চাদের বিভিন্ন টুপি। বাহারী কাজ ও ডিজাইনের শালের কালেকশন ও লক্ষণীয়। এছাড়া বিভিন্ন রকমের কম্বল ও কাথাও বিক্রি করতে দেখা যায়।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বাড়ায় সর্দি, কাশিসহ শীতকালীন নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছেন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষজন। বিত্তবানরা যাচ্ছেন, বড় বড় শপিংমলে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার ঝাঁজ শীতের পোশাকেও পড়েছে, ফলে আর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের একমাত্র ভরসা ফুটপাতের দোকান গুলো। যে যার মতো করে কিনছেন হালকা ও মাঝারি ধরনের শীতের গরম পোশাক।
উপজেলা সদরে প্রেসক্লাব চত্বর, বাসস্ট্যান্ড, নয়ারহাট বাজার, রূপসা বাজার, গৃদকালিন্দিয়া বাজার, ধানুয়া বাজারসহ বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত ও মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে শীতবস্ত্র বেচাকেনা জমজমাট।
ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরের ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রেতা চান মিয়া জানান, আমি নামমাত্র মূল্যে শীতের পোশাক বিক্রি করছি। যাতে গরীব মানুষ শীত নিবারণ করতে পারে। মাত্র ২০ টাকাথেকে শুরু করে ৫০ টাকা পর্যন্ত শীতের পোশাকের সর্বোচ্চ দাম।
রূপসা বাজারের ব্যবসায়ী নুরে আলম বলেন, আমরা বছরে দুই ঈদ ছাড়া এই শীতে একটু বাড়তি ব্যবসা করার সুযোগ পেয়ে থাকি। তবে শীত এলে আবার এ সুযোগ পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।
উপজেলার কাছিয়াড়া এলাকার বাসিন্দা ক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আর দু’তিন দিন পরেই মাঘ মাস আসছে। শীতের প্রভাব আরো বেশি পড়ার আগেই এবার শীতের পোশাক কেনার জন্য ফুটপাতের মার্কেটে আসছি।
মহসীন মেয়া নামের আরেক ক্রেতা জানান, আমরা গরিব মানুষ, তাই আমাদের বেশি দামের পোশাক কেনার সামর্থ নেই। বর্তমানে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই ফুটপাতের পোশাকই আমাদের একমাত্র ভরসা। সামর্থ না থাকায় আমি প্রতিবছরই ফুটপাতের দোকানগুলো থেকে শীতের পোশাক কিনে থাকি। তাই এ বছরও কিনলাম। ফুটপাতের দোকান হলো গরিবের শপিংমল।