ফরিদগঞ্জ ০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে ছাত্র হিযবুল্লাহ’র না’ত সন্ধ্যা ফরিদগঞ্জে গাড়ির টিকেট বিক্রেতা থেকে পৌর মেয়র হওয়া আবুল খায়ের পাটওয়ারীর যত কাণ্ড পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশেরপর গুলিবিদ্ধ আকবরের ঠাঁই হলো রাজারভাগ পুলিশ হাসপাতালে ধানুয়া মাদ্রাসার কাগজপত্র জালিয়াতির দায়ে জেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ ফরিদগঞ্জে কৃষক বাঁচাতে বিদ্যালয় মাঠে আমনের বীজতলা কলেজে না এসেও বেতন তুলছেন আওয়ামীলীগ সভাপতির স্ত্রী !  ফরিদগঞ্জে সড়ক রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন বাবা মায়ের উপর ছেলেদের নৃশংসতা দুর্নীতির দায়ে বহিঃষ্কার হলো ফরিদগঞ্জে স্কাউট সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া   

ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি

ফরিদগঞ্জ সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ৩৬০ বার পড়া হয়েছে

 

আমরা পুলিশ কোনো কথা বলবি না, এমন কথা বলে প্রবাসীর বাড়িতে থাকা বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামের হাজী বাড়ীর সহিদ উল্যার বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সংবাদে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করেও ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করা যায় নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ।

ঘটনার শিকার সহিদ উল্যার শ্যালক মো. মনির হোসেন জানান, আমার ভাগিনারা ৩ জন প্রবাসে থাকে। তাই আমি বোনের বাড়িতে থাকি। প্রতিদিনের ন্যায় গত রাতেও ঘুমিয়ে পড়ি। রাত প্রায় ২ টার সময় আমার কানে শব্দ আসে আমরা পুলিশ,কোনো কথা বলবি না। এরপর অস্ত্র ঠেঁকিয়ে মুখ, হাত পা বেঁধে ফেলে তারা সবকিছু নিয়ে গেছেন।

সহিদ উল্যার স্ত্রী মাজেদা বেগম লিলু জানান, রাতে আইনের লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতরা। পরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আল মিরার চাবি নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণের গহনা, নগদ ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল লুট করে তারা।

তিনি আরো বলেন, ডাকাতরা চলে গেলে আমার ভাই হামাগুড়ি দিয়ে আমার কাছে আসলে একে অপরের বাঁধ খুলে বাহিরে গিয়ে ডাক চিৎকার দেই। এসময় ডাকাতদের ধরতে আমাদের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা আসলে জরুরীসেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে থানা থেকে পুলিশ এসে তদন্ত করে যায়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাড়িতে থাকা লোকজনদের বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এলাকার কয়েকটি মসজিদের মাইকে ঘোষাণা করেও ডাকাতদের ধরা যায়নি। শুনেছি, তারা নাকি এসে পুলিশের পরিচয় দিয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বে একই উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতেও পুলিশ পরিচয় দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর এক সদস্যের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায়ও এখন পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার বা কাউকে আটক করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি

আপডেট সময় : ০২:২৩:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

 

আমরা পুলিশ কোনো কথা বলবি না, এমন কথা বলে প্রবাসীর বাড়িতে থাকা বাসিন্দাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) গভীর রাতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের পশ্চিম রূপসা গ্রামের হাজী বাড়ীর সহিদ উল্যার বসত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতির সংবাদে স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করেও ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করা যায় নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ।

ঘটনার শিকার সহিদ উল্যার শ্যালক মো. মনির হোসেন জানান, আমার ভাগিনারা ৩ জন প্রবাসে থাকে। তাই আমি বোনের বাড়িতে থাকি। প্রতিদিনের ন্যায় গত রাতেও ঘুমিয়ে পড়ি। রাত প্রায় ২ টার সময় আমার কানে শব্দ আসে আমরা পুলিশ,কোনো কথা বলবি না। এরপর অস্ত্র ঠেঁকিয়ে মুখ, হাত পা বেঁধে ফেলে তারা সবকিছু নিয়ে গেছেন।

সহিদ উল্যার স্ত্রী মাজেদা বেগম লিলু জানান, রাতে আইনের লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতরা। পরে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আল মিরার চাবি নিয়ে যায় ডাকাতরা। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় ৮ ভরি স্বর্ণের গহনা, নগদ ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল লুট করে তারা।

তিনি আরো বলেন, ডাকাতরা চলে গেলে আমার ভাই হামাগুড়ি দিয়ে আমার কাছে আসলে একে অপরের বাঁধ খুলে বাহিরে গিয়ে ডাক চিৎকার দেই। এসময় ডাকাতদের ধরতে আমাদের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা আসলে জরুরীসেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে থানা থেকে পুলিশ এসে তদন্ত করে যায়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাড়িতে থাকা লোকজনদের বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। এলাকার কয়েকটি মসজিদের মাইকে ঘোষাণা করেও ডাকাতদের ধরা যায়নি। শুনেছি, তারা নাকি এসে পুলিশের পরিচয় দিয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বে একই উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতেও পুলিশ পরিচয় দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর এক সদস্যের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায়ও এখন পর্যন্ত মালামাল উদ্ধার বা কাউকে আটক করা হয়নি।