ফরিদগঞ্জ ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গৃদকালিন্দিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধন ফরিদগঞ্জে টিসিবির কার্ড বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যানের চালবাজী  ফরিদগঞ্জ-রুপসা-খাজুরিয়া সড়কে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান ফরিদগঞ্জে বন্যায় দুর্গত মানুষের মাঝে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  ফরিদগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার ও পদত্যাগের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঢাকার উত্তরখানের হত্যা মামলায় আসামী হলেন ফরিদগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পলাতক প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা ফরিদগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে লায়ন আল-আমিন ফাউন্ডেশনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ফরিদগঞ্জে বন্যায় পানিবন্দি মানুষের হাহাকার ফরিদগঞ্জে টানা বর্ষণে দূর্বিসহ জনজীবন ॥ বিপাকে মৎস্যচাষীরা

ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে মা খু-ন

শামীম হাসান
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধি ছেলের হাতে মায়ের খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ইছাপুরা গ্রামের বাহার বাড়িতে (আড্ডা বাড়ি) মানসিক প্রতিবন্ধী
রাসেল (২২) তার মা রানু বেগম (৫০) কে গলা কেটে হত্যা করে বসত ঘরের বিছানায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

খুন হওয়া রানু বেগমের স্বামী আতর খাঁ (৭০) এই প্রতিবেদককে জানান, আমি রূপসার একটি মাদ্রাসায় রান্না করার চাকরি করি। প্রতিদিনের ন্যায় আজও ভোর রাত ৪ টায় উঠে আমি মাদ্রাসায় চলে যাই, দুপুর ২ টায় রাসেল আমার মোবাইলে কল দিয়ে বলে, আব্বা মারে কে গলা কাটি মারি হালাইছে, আই তাড়াতাড়ি বাড়িতে আইয়া দেহি গলা কাটা অবস্থায় বিছানায় পরি রইছে। আর কোন শত্রু নাই এই কাম আর কেউ করে না, এই কাম রাসেলে করছে৷

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম ।পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। ঘাতক ছেলে রাছেল পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি৷

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আতর খাঁনের ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য বাড়িতে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলো। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে তার বাবাকেও সে মেরেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক গত প্রায় ৫ বছর যাবত ঢাকাতে থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখেনা। বাকি ৩ মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাছেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে। গত কয়েকদিন যাবত সে তাঁর বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে। আমি চাই সঠিক তদন্ত করে এই হত্যার বিচার করবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমকে জবাইকৃত মরদেহ উদ্ধার করেছি। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্যনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাছেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত রাছেল পলাতক রয়েছে, তাঁকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে মা খু-ন

আপডেট সময় : ০৪:১১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধি ছেলের হাতে মায়ের খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ইছাপুরা গ্রামের বাহার বাড়িতে (আড্ডা বাড়ি) মানসিক প্রতিবন্ধী
রাসেল (২২) তার মা রানু বেগম (৫০) কে গলা কেটে হত্যা করে বসত ঘরের বিছানায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

খুন হওয়া রানু বেগমের স্বামী আতর খাঁ (৭০) এই প্রতিবেদককে জানান, আমি রূপসার একটি মাদ্রাসায় রান্না করার চাকরি করি। প্রতিদিনের ন্যায় আজও ভোর রাত ৪ টায় উঠে আমি মাদ্রাসায় চলে যাই, দুপুর ২ টায় রাসেল আমার মোবাইলে কল দিয়ে বলে, আব্বা মারে কে গলা কাটি মারি হালাইছে, আই তাড়াতাড়ি বাড়িতে আইয়া দেহি গলা কাটা অবস্থায় বিছানায় পরি রইছে। আর কোন শত্রু নাই এই কাম আর কেউ করে না, এই কাম রাসেলে করছে৷

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম ।পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। ঘাতক ছেলে রাছেল পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি৷

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, আতর খাঁনের ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য বাড়িতে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিলো। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে তার বাবাকেও সে মেরেছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাছেল সবার ছোট। বড় ছেলে ফারুক গত প্রায় ৫ বছর যাবত ঢাকাতে থাকে। বাড়িতে বাবা-মায়ের খোঁজখবর রাখেনা। বাকি ৩ মেয়ের বিয়ে হওয়াতে তারা স্বামীর বাড়িতে থাকে। রাছেল ফরিদগঞ্জ বাজারে একটি মুদি দোকানে শ্রমিকের কাজ করে। গত কয়েকদিন যাবত সে তাঁর বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে। আমি চাই সঠিক তদন্ত করে এই হত্যার বিচার করবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে রানু বেগমকে জবাইকৃত মরদেহ উদ্ধার করেছি। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্যনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাছেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত রাছেল পলাতক রয়েছে, তাঁকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।