ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে মা খু_ন
- আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ২৫০ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জে ফয়েজ নামে এক যুবকের কাঠের টুকরোর আঘাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফয়েজ মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে দাবি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নাগাদ উপজেলার পূর্ব চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপুর কুট্টি ভুইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম কাউছারা বেগম (৬০) বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউছারা বেগম বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় তার ছেলে মাওলানা ফয়েজ একটি কাঠের টুকরো হাতে নিয়ে মাকে সজোরে আঘাত করেন। এতে, তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে যান। তাদের কাছে খবর পেয়ে অন্য দুই ছেলে ছুটে যান। তারা কাউছারা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদ উজ জামান জুয়েল জানান, মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে আহত নারীর মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের অপর ছেলের স্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে একটি আওয়াজ কানে আসে। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আম্মা মাটিতে পড়ে আছেন। দ্রুত শ্বশুরকে খবর দেই। তিনিসহ দেবররা এসে আম্মাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি বাইরে গিয়ে দেখি ফয়েজ এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে তিনি ঘরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। তিনি আরও জানান, ফয়েজ প্রায় ১০ বছর যাবত মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই আমজাদ ও এসআই. খোকনসহ পুলিশ ঘটানস্থলে যান। তারা ঘটনার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেন।
পুলিশ ফয়েজকে দরজা খুলতে বললে ফয়েজ খুব সহজে দরজা খুলে দেন। ওই সময় তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমাকে গুলি করে দেন’। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। এ বিষয়ে, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ আলম বলেছেন, ছেলের হাতে মা খুন হওয়ার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ফয়েজ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।