ফরিদগঞ্জে চার সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- আপডেট সময় : ০৯:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩ ৬২৯ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জে চার সন্তানের জননীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) উপজেলার ৬ নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মান্দারতলী গ্রামের সিদ্দিক হাজীর বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, এদিন সকালে আরবী পড়তে মোক্তবে যাওয়ার সময় একই বাড়ির শিশুরা রহিমা বেগম (৫৫) এর লাশ আম গাছে ঝুলতে দেখে চিৎকার চেচামেচি করলে, আশেপাশের লোকজন এসে আম গাছের সাথে রহিমা বেগমের ওড়না পেছানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে কল দিলে বেলা ১১টায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন।
একই বাড়ির কয়েকজন বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, রহিমা বেগমের পাশ্ববর্তী এলাকা বোয়ালিয়ার বিল্লাল হোসেনের সাথে প্রথম বিয়ে হয়। সে ঘরে দুজন ছেলে সন্তান থাকলেও প্রথম স্বামীকে রেখে ২০১৫ সালে মান্দারতলী গ্রামের স্বপন আহমেদের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয় ঘরে এক ছেলে এবং এক মেয়ে সহ দুই সন্তানে জন্ম হয় ৷ সন্তানের জন্মের কয়েক বছরের পরিবর্তে দ্বিতীয় ফের স্বামীর সাথেও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় রহিমা বেগমের। এরপর বাবার বাড়িতে বাবার লিখে দেওয়া সম্পত্তির উপর ঘর তুলে দ্বিতীয় ঘরের মেয়ে সন্তান হাবিবা (৭) কে নিয়েই সেখানে বসবাস করতেন। আত্মহত্যার ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন৷ প্রতিদিনের মতো এদিনও মেয়ে সন্তানকে নিয়ে ঘুমাতে গেলেও রাতের কোন এক সময় আম গাছের সাথে ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন রহিমা বেগম। সম্প্রতি সময়ে কারো কোন প্রকার দ্বন্দ্ব বা বিভেদ না হলে কি অজানা কারনে তিনি আত্মহত্যা করেছে এবিষয় স্থানীদের মাঝে ধুম্রোজাল তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল জানান, সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মানসিক বিষাদগ্রস্ততা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার তদন্তের জন্য উদ্ধারকৃত লাশ পোস্টমেটামে পাঠানো হয়েছে।