ফরিদগঞ্জে ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম
- আপডেট সময় : ১১:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩ ৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৪ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসের ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিমের প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত এই ভূমি কর্মকর্তা ঘুষ বাণিজ্য করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন। সুবিদপুর ইউনিয়নের গুপটি মৌজার ২০ শতাংশ জায়গার খারিজ করাতে গিয়ে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছেন এই ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম। ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার পরেও গ্রাহক শহিদুল্লাহ জমির খারিজ করে না দেওয়ায় থলের বিড়ালের মতো বেরিয়ে আসলো এই ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের ভিডিও। ভুক্তভোগী ফয়সাল তার গোপন ক্যামেরায় ভূমি কর্মকর্তার ঘুষ চাওয়ার ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিমের ঘুষ বাণিজ্যের ঘটনাটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এ সকল অসাধু কর্মকর্তার এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এই ঘটনায় ৪ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের সম্পত্তির দাবিদার শহিদুল্লাহ ও তার মেয়ের জামাই ফয়সাল জানান, সুবিদপুর ইউনিয়নের গুপটি মৌজার ক্রয় কৃত ২০ শতাংশ জায়গার একের এক খতিয়ানে চলে যায়। পরে দলিলসহ সকল প্রমাণাদি নিয়ে খারিজ করাতে গেলে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছেন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম। পরে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে তাকে ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ভূমি কর্মকর্তার আনোয়ারুল আজিমের ঘুষ চাওয়ার ঘটনাটি সুকৌশলে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু টাকা নিয়েও সে খারিজটি না করে তিনি তালবাহানা শুরু করো। টাকা চাইলে সে আরো হুমকি দেয়। এভাবেই এই অসাধু কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম খারিজ করার নামে অনেক অসহায় মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এবিষয়ে ৪ নং সুবিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিমের মোবাইল ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয় জানতে চাইলে অফিসে আসেন, সরাসরি কথা বলবো, এই বলে তিনি মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।
খারিজ সেবাগ্রহিতা ও সম্পত্তির দাবিদার শহিদুল্লাহ জানাবা, দ্রুত এই অভিযুক্ত (প্রমানিত) আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান।