ফরিদগঞ্জ ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ফরিদগঞ্জে এতিম ও পথশিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করলো পুলিশ সদস্য ফরিদগঞ্জের কালির বাজারে স্বপ্ন ছায়া সামাজিক সংগঠনের ইফতার বিতরণ ফরিদগঞ্জে পাবলিক টয়লেট নির্মাণে বাঁধার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন ফরিদগঞ্জে হনুফা খাতুনের মৃত্যুতে শোকের মাতম, দাফন সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লায়ন আল-আমিনের লিফলেট বিতরণ ফরিদগঞ্জ কে আর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ ফরিদগঞ্জে যুবদলের দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন ফরিদগঞ্জে সড়কের কাজে ধীরগতি ।। জনদুর্ভোগ চরমে ফরিদগঞ্জে ‘প্রত্যাশা স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা’র মেধাবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ফরিদগঞ্জে এক নারীকে জবাই ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

ফরিদগঞ্জ সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪ ৮৩১ বার পড়া হয়েছে

 

ফরিদগঞ্জে মমতাজ বেগম রিক্তা(৩৫) নামে এক বিউটিশিয়ানকে জবাই ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর টয়লেটে রেখে দেওয়া হয়। বুধবার (১৭ জানুয়ারী) রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার বেপারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতেই লাশ উদ্ধার করে বৃহষ্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করে। খুনের শিকার রিক্তা বেপারি বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহর ছোট মেয়ে এবং দুবাই প্রবাসী রাকিবুল হাসানের স্ত্রী ।
জানা যায়, রিক্তা রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূ বরণ বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বাড়িতে ফিরে। স্বামী প্রবাসে এবং তার কোন সন্তান না থাকায় মৃত বোনের একমাত্র ছেলে বাপ্পি (১৮)কে নিয়ে বসবাস করতো।
বাপ্পি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটি দোকানে মোবাইল দোকানে মোবাইল মেরামতের কাজ শিখছে। রাত ৮ টার দিকে সে বাড়ি ফিরে তার খালা রিক্তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানায় এবং বাড়ির লোকজনসহ ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে রিক্তার চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশী আক্তার তার মা ও বাপ্পিসহ ঘরে প্রবেশ করে বহু খোঁজাখুঁজি করার পর টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রক্তাক্ত মৃত দেহ দেখতে পায়।
এ ঘটনা ঐশী তার বাবা মাহফুজুর রহমানকে জানালে তিনি জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থল থেকে রাতেই পুলিশ রিক্তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। রিক্তার বোনের ছেলে বাপ্পি জানায়, আমার জন্ম পর মা মারা যাওয়ার পর এই খালার কাছেই বড় হয়েছি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার সময় খালামনিকে দেখেছি বাজার থেকে পুরি নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। আমি রাত ৮ টার সময় বাজার থেকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। খালাকে অনেকক্ষণ ডাকা ডাকি করে কোন শাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার লক মোড়া দিলেই দরজা খুলে যায়। এসময় বিদ্যুৎ ছিল না, ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের মেঝেতে খালার বোরকা রক্ত মাখা। আমি চিৎকার করে পাশের ঘরের মাহফুজ মামার স্ত্রী লাকি মামানিকে ডেকে আনি। পরে ওই মামানি ও তার মেয়ে ঐশীসহ ঘরে ভেতরে খুঁজে না পেয়ে টয়লেটের দরজা খুলে দেখি খালা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
একই বাড়ির মাহফুজুর রহমান জুয়েল জানান, এই ঘটনা দেখেই আমি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানাই। রিক্তা আমার চাচাতো বোন। আমার জেঠা ও জেঠি মারা যাওয়ার পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকে। তিনি আরো জানান, গত প্রায় দশ বছর পূর্বে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছে। রিক্তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস পূর্বেও সে ছুটি কাটিয়ে গেছে। রিক্তার কোন সন্তান নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির জানান, রিক্তা আমার চাচাতো বোন। রাতে ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল জানান, খুনের বিষয়ে মাহফুজুর রহমান নামক ব্যক্তি জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে এসে মমতাজ বেগম রিক্তার লাশ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে এক নারীকে জবাই ও পায়ের রগ কেটে হত্যা

আপডেট সময় : ১১:০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৪

 

ফরিদগঞ্জে মমতাজ বেগম রিক্তা(৩৫) নামে এক বিউটিশিয়ানকে জবাই ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ কম্বল পেঁচিয়ে ঘরের ভেতর টয়লেটে রেখে দেওয়া হয়। বুধবার (১৭ জানুয়ারী) রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের চরমান্দারি এলাকার বেপারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতেই লাশ উদ্ধার করে বৃহষ্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে পোস্ট মর্টেমের জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করে। খুনের শিকার রিক্তা বেপারি বাড়ির মৃত এমদাদ উল্লাহর ছোট মেয়ে এবং দুবাই প্রবাসী রাকিবুল হাসানের স্ত্রী ।
জানা যায়, রিক্তা রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজারের বধূ বরণ বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বাড়িতে ফিরে। স্বামী প্রবাসে এবং তার কোন সন্তান না থাকায় মৃত বোনের একমাত্র ছেলে বাপ্পি (১৮)কে নিয়ে বসবাস করতো।
বাপ্পি গৃদকালিন্দিয়া বাজারে একটি দোকানে মোবাইল দোকানে মোবাইল মেরামতের কাজ শিখছে। রাত ৮ টার দিকে সে বাড়ি ফিরে তার খালা রিক্তাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে। পরে ঘরের মেঝেতে রক্ত দেখে বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানায় এবং বাড়ির লোকজনসহ ঘরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে রিক্তার চাচাতো ভাই মাহফুজুর রহমানের মেয়ে ঐশী আক্তার তার মা ও বাপ্পিসহ ঘরে প্রবেশ করে বহু খোঁজাখুঁজি করার পর টয়লেটের ভেতরে কম্বল মোড়ানো অবস্থায় রক্তাক্ত মৃত দেহ দেখতে পায়।
এ ঘটনা ঐশী তার বাবা মাহফুজুর রহমানকে জানালে তিনি জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থল থেকে রাতেই পুলিশ রিক্তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। রিক্তার বোনের ছেলে বাপ্পি জানায়, আমার জন্ম পর মা মারা যাওয়ার পর এই খালার কাছেই বড় হয়েছি। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার সময় খালামনিকে দেখেছি বাজার থেকে পুরি নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছে। আমি রাত ৮ টার সময় বাজার থেকে বাড়িতে এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। খালাকে অনেকক্ষণ ডাকা ডাকি করে কোন শাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার লক মোড়া দিলেই দরজা খুলে যায়। এসময় বিদ্যুৎ ছিল না, ঘরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের মেঝেতে খালার বোরকা রক্ত মাখা। আমি চিৎকার করে পাশের ঘরের মাহফুজ মামার স্ত্রী লাকি মামানিকে ডেকে আনি। পরে ওই মামানি ও তার মেয়ে ঐশীসহ ঘরে ভেতরে খুঁজে না পেয়ে টয়লেটের দরজা খুলে দেখি খালা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
একই বাড়ির মাহফুজুর রহমান জুয়েল জানান, এই ঘটনা দেখেই আমি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানাই। রিক্তা আমার চাচাতো বোন। আমার জেঠা ও জেঠি মারা যাওয়ার পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকে। তিনি আরো জানান, গত প্রায় দশ বছর পূর্বে চট্টগ্রামে রিক্তার বিয়ে হয়েছে। রিক্তার স্বামী রাকিবুল হাসান দুবাই প্রবাসী। গত দুই মাস পূর্বেও সে ছুটি কাটিয়ে গেছে। রিক্তার কোন সন্তান নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির জানান, রিক্তা আমার চাচাতো বোন। রাতে ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল জানান, খুনের বিষয়ে মাহফুজুর রহমান নামক ব্যক্তি জাতীয় জরুরী সেবা (৯৯৯) ফোন করে। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে এসে মমতাজ বেগম রিক্তার লাশ উদ্ধার করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।