ফরিদগঞ্জ ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান  ফরিদগঞ্জে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা।। সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ইউপি সদস্যসহ আ_হ_ত ৯ জন ফরিদগঞ্জে প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপেক্ষা করে সড়কে রাবিশের উপরই চলছে নির্মাণ কাজ ফরিদগঞ্জে কিশোরের ঝু_ল_ন্ত ম_র_দে_হ উদ্ধার কেন্দ্রীয় যুবদল কে অভিনন্দন  জানিয়ে ফরিদগঞ্জ  উপজেলা ও পৌর যুবদলের আনন্দ মিছিল  ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পারায় ঘরে তালা দিলো এনজিওকর্মী  ফরিদগঞ্জে স্বপ্নছায়া সামাজিক সংগঠনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পেরে বৃদ্ধের গলায় ফাঁ_স দিয়ে আ_ত্ম_হ_ত্যা আইডিয়াল সমাজসেবা ফাউন্ডেশনের ইলেকট্রিক হুইল চেয়ার পেলো পঙ্গু হেলাল বিক্ষোভের মুখে পড়ে চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধ ।। আন্দোলন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ফের টোল আদায় শুরু

পরকিয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রী গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে উধাওয়ের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জে পরকিয়ার জেরে ১৫ বছর সংসার করার পর ৯ ভরি স্বর্ণ ও ২৩ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জননী এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইছাপুরা বেপারী বাড়ির মৃত শামসুল হক বেপারী ও জরিনা খাতুনের ছোট ছেলে মো: মিজান (৫০) তার স্ত্রীর বিরূদ্ধে অভিযোগটি করেন৷ ২০০৫ সালে একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গাজীপুরের মৃত আতিকুল্লা তফদারের মেয়ে শামসুন্নাহার রেখা (৩৫) এর সাথে বিয়ের হয় প্রবাসী মো: মিজানের। টানা ১৫ বছর সংসার করার পর গত ২০১৯ সালে একই ইউনিয়নের সাবেক এক মেম্বারের সাথে পরকিয়ার জেরে প্রবাস জীবনের ২৮ বছরের উপার্জিত নগদ অর্থ ও গহনা নিয়ে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রবাসী মো: মিজান। অভিযুক্ত শামসুন্নাহারের বড় সন্তান মেহেদী হাসান এবার গাজীপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছোট মেয়ে মাইসা (১১) গাজীপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

সৌদি প্রবাসী মো: মিজানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়,বিয়ের পর ১৪/১৫ বছর মিজান ও শামসুন্নাহার রেখা সংসার ভালোই চলছিলো,২০১৯ সালে এসে এক মেম্বারের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয় অভিযুক্ত শামসুননাহার,ঘটনাটি শশুর বাড়ির লোকদের দৃষ্টিগোচর হলে স্বামীর দেয়া গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে অন্যত্র চলে যান অভিযুক্ত শামসুননাহার। পরে মিজান প্রবাস থেকে যেন বাড়িতে না আসতে পারে সেজন্য মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে নানা রকম হুমকি ধমকির অভিযোগ তুলেছে মিজানের পরিবার।

অভিযুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী একই ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের গাজীপুরের মৃত আতিকুল্লা তফদারের মেয়ে শামসুন্নাহার রেখা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,২০০৫ সালে আমার ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর আমার স্বামী সেসময়ে একেবারে বিদেশ থেকে চলে আসার কারনে পুনরায় বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার বাবা থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছে পরে আমি ওই সংসারে থাকাকালীন বাড়ির বিল্ডিং নির্মানের জন্য পুনরায আরও দুই লক্ষ টাকা আমার বাবার বাড়ি থেকে নিয়েছেন আমার স্বামী মিজান এবং বিভিন্ন সময়ে বিল্ডিংয়ের অন্যান্য কাজের সুবাদে অনেক টাকা ঋনে পড়তে হয়েছে আমার। আমার বাড়ি থেকে যে টাকা গুলো দিয়েছে পরবর্তীতে আমার বাবার দেনা পরিশোধ করতে হয়েছে। আমার বাবার বাড়ি থেকে ২০১৯ সালে সবশেষ ৫ লক্ষ টাকা কিস্তিতে তুলে না দেয়ায় আমাকে নির্মম ভাবে মারধর করে আমার সন্তানদের সহ আমাকে বাপের বাড়িতে দিয়ে যায় এর পর গত পাঁচ বছর দুই সন্তানকে নিয়ে শত কষ্টে জীবনযাপন করছি এর মধ্যে ছেলে মেয়েদের খোজ খবর নেন না আমার স্বামী। যেহেতু আমার স্বামী জুয়া খেলে নিজের উপার্জনের সব টাকা হারিয়েছেন,আমার উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতেন, আমার ছেলে সন্তানের দিকেও তাকান না তাই আমার করা মামলা কোটে চলমান আছে, মামলায় সত্যের পক্ষে যে রায় আসবে আমি তাই মেনে নিবো।

পরকীয়ার অভিযোগের বিষয়ে একই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার অভিযুক্ত উজ্জ্বল মেম্বারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,পূর্বেও ১০১৯ সালে আমার বিরূদ্ধে এমন মিথ্যাচার করা হয়েছিলো, সেসময় বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন স্থানীয় মেম্বার নিয়ে বসলে সেখানে মিজান তার ভুল শিকার করে আমার বিরুদ্ধে আর এমন মিথ্যাচার করবে না এই মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন। উনি অহেতুক কারনে যেহেতু একই অভিযোগ আবার বিরুদ্ধে পুনরায় তুলছেন, তাহলে উনি প্রবাস থেকে আসুক,আসলে পুনরায় বিষয়টি নিয়ে বসতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পরকিয়ার জেরে প্রবাসীর স্ত্রী গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে উধাওয়ের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

ফরিদগঞ্জে পরকিয়ার জেরে ১৫ বছর সংসার করার পর ৯ ভরি স্বর্ণ ও ২৩ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই সন্তানের জননী এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইছাপুরা বেপারী বাড়ির মৃত শামসুল হক বেপারী ও জরিনা খাতুনের ছোট ছেলে মো: মিজান (৫০) তার স্ত্রীর বিরূদ্ধে অভিযোগটি করেন৷ ২০০৫ সালে একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গাজীপুরের মৃত আতিকুল্লা তফদারের মেয়ে শামসুন্নাহার রেখা (৩৫) এর সাথে বিয়ের হয় প্রবাসী মো: মিজানের। টানা ১৫ বছর সংসার করার পর গত ২০১৯ সালে একই ইউনিয়নের সাবেক এক মেম্বারের সাথে পরকিয়ার জেরে প্রবাস জীবনের ২৮ বছরের উপার্জিত নগদ অর্থ ও গহনা নিয়ে পালিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রবাসী মো: মিজান। অভিযুক্ত শামসুন্নাহারের বড় সন্তান মেহেদী হাসান এবার গাজীপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছোট মেয়ে মাইসা (১১) গাজীপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।

সৌদি প্রবাসী মো: মিজানের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়,বিয়ের পর ১৪/১৫ বছর মিজান ও শামসুন্নাহার রেখা সংসার ভালোই চলছিলো,২০১৯ সালে এসে এক মেম্বারের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয় অভিযুক্ত শামসুননাহার,ঘটনাটি শশুর বাড়ির লোকদের দৃষ্টিগোচর হলে স্বামীর দেয়া গহনা ও নগদ অর্থ নিয়ে অন্যত্র চলে যান অভিযুক্ত শামসুননাহার। পরে মিজান প্রবাস থেকে যেন বাড়িতে না আসতে পারে সেজন্য মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করে নানা রকম হুমকি ধমকির অভিযোগ তুলেছে মিজানের পরিবার।

অভিযুক্ত প্রবাসীর স্ত্রী একই ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডের গাজীপুরের মৃত আতিকুল্লা তফদারের মেয়ে শামসুন্নাহার রেখা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,২০০৫ সালে আমার ১৪ বছর বয়সে বিয়ে হওয়ার পর আমার স্বামী সেসময়ে একেবারে বিদেশ থেকে চলে আসার কারনে পুনরায় বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার বাবা থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছে পরে আমি ওই সংসারে থাকাকালীন বাড়ির বিল্ডিং নির্মানের জন্য পুনরায আরও দুই লক্ষ টাকা আমার বাবার বাড়ি থেকে নিয়েছেন আমার স্বামী মিজান এবং বিভিন্ন সময়ে বিল্ডিংয়ের অন্যান্য কাজের সুবাদে অনেক টাকা ঋনে পড়তে হয়েছে আমার। আমার বাড়ি থেকে যে টাকা গুলো দিয়েছে পরবর্তীতে আমার বাবার দেনা পরিশোধ করতে হয়েছে। আমার বাবার বাড়ি থেকে ২০১৯ সালে সবশেষ ৫ লক্ষ টাকা কিস্তিতে তুলে না দেয়ায় আমাকে নির্মম ভাবে মারধর করে আমার সন্তানদের সহ আমাকে বাপের বাড়িতে দিয়ে যায় এর পর গত পাঁচ বছর দুই সন্তানকে নিয়ে শত কষ্টে জীবনযাপন করছি এর মধ্যে ছেলে মেয়েদের খোজ খবর নেন না আমার স্বামী। যেহেতু আমার স্বামী জুয়া খেলে নিজের উপার্জনের সব টাকা হারিয়েছেন,আমার উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার করতেন, আমার ছেলে সন্তানের দিকেও তাকান না তাই আমার করা মামলা কোটে চলমান আছে, মামলায় সত্যের পক্ষে যে রায় আসবে আমি তাই মেনে নিবো।

পরকীয়ার অভিযোগের বিষয়ে একই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার অভিযুক্ত উজ্জ্বল মেম্বারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান,পূর্বেও ১০১৯ সালে আমার বিরূদ্ধে এমন মিথ্যাচার করা হয়েছিলো, সেসময় বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন স্থানীয় মেম্বার নিয়ে বসলে সেখানে মিজান তার ভুল শিকার করে আমার বিরুদ্ধে আর এমন মিথ্যাচার করবে না এই মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছেন। উনি অহেতুক কারনে যেহেতু একই অভিযোগ আবার বিরুদ্ধে পুনরায় তুলছেন, তাহলে উনি প্রবাস থেকে আসুক,আসলে পুনরায় বিষয়টি নিয়ে বসতে হবে।