ফরিদগঞ্জ ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান  ফরিদগঞ্জে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা।। সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ইউপি সদস্যসহ আ_হ_ত ৯ জন ফরিদগঞ্জে প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপেক্ষা করে সড়কে রাবিশের উপরই চলছে নির্মাণ কাজ ফরিদগঞ্জে কিশোরের ঝু_ল_ন্ত ম_র_দে_হ উদ্ধার কেন্দ্রীয় যুবদল কে অভিনন্দন  জানিয়ে ফরিদগঞ্জ  উপজেলা ও পৌর যুবদলের আনন্দ মিছিল  ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পারায় ঘরে তালা দিলো এনজিওকর্মী  ফরিদগঞ্জে স্বপ্নছায়া সামাজিক সংগঠনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পেরে বৃদ্ধের গলায় ফাঁ_স দিয়ে আ_ত্ম_হ_ত্যা আইডিয়াল সমাজসেবা ফাউন্ডেশনের ইলেকট্রিক হুইল চেয়ার পেলো পঙ্গু হেলাল বিক্ষোভের মুখে পড়ে চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধ ।। আন্দোলন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ফের টোল আদায় শুরু

টনিক মিশ্রিত ড্রাগন ফলে সয়লাভ ফরিদগঞ্জ বাজার

শামীম হাসান
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৭৭ বার পড়া হয়েছে

 

এমন এক ফল খেলে মানবদেহের ডিএনএ পরিবর্তনসহ হতে পারে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ অথচ না জেনেই আমরা এমন ফল খাচ্ছি অহরহ।
চোখ কপালের তোলার মত বিস্ময়কর তথ্য হলো বর্তমানে সময়ে আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় ফল ড্রাগনই সেই ফল, তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের টুকটুকে লাল রঙ্গের ড্রাগন ফল নয়, বরং সাম্প্রতি সময়ে বাজারে কিনতে পাওয়া ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পরিমাপের ফলের গায়ের আংশিক লাল এবং হলদে-সবুজ বর্ণের ড্রাগন ফল।

চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ফরিদগঞ্জ বাজারসহ রূপসা, গৃদকালিন্দিয়া, চান্দ্রা বাজার এমনকি উপজেলার প্রায় সব বাজারগুলোতেই ফলের দোকানগুলোতে চোখে পড়ছে বড় সাইজের এসব ড্রাগন ফল। যা কিনা নীরব ঘাতক হিসেবে ক্ষতি করছে আমার আপনার এবং কোমলমতি শিশুর শরীরে।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) ফরিদগঞ্জ বাজারে ড্রাগন ফল কিনতে আসা এক স্কুল শিক্ষকের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের, এই ফলের বিষয়ে জিঞ্জেস করতে তিনি বলেন, ফলের মধ্যে বাসায় বাচ্চারা ড্রাগন খেতে পছন্দ করে। তাই ভিন্ন সময়ে ফল কিনতে আসলে অন্যান্য ফলের তুলনায়া ড্রাগন ফলই কেনা হয়।

কথা হয় কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীদের সাথে ফলে যে ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রণ এবং ফলের আকারে বড় হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা আড়ৎ থেকে ফল কিনে এনে বিক্রি করি, এগুলো কিভাবে এত বড় হয় কিংবা কিভাবে এগুলোর চাষ করা হয় তা জানা নেই। তবে আগে ছোট আকৃতির লাল বর্ণের ড্রাগন আসতো এখন বড় আকৃতির ড্রাগনগুলো আসে।

কৃষি বিশ্লেষক ও গবেষকদের মতে, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা একটি পরিপক্ব ড্রাগন দুইশ গ্রাম থেকে আড়াইশ গ্রাম এবং লাল বর্ণের হয়। অধিক লাভের আসায় কিছু অসাধু চাষী অধিক লাভবান হওয়ার জন্য ড্রাগন ফলের ফুল আসা থেকে শুরু করে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত তিনবার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ টনিক স্পে করে, যেকারনে একেকটি ড্রাগনের ওজন আট’শ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকে আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, খুব সহসায় আমি বিষয়টি দেখবো এবং আমার উধ্বর্তন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টনিক মিশ্রিত ড্রাগন ফলে সয়লাভ ফরিদগঞ্জ বাজার

আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

 

এমন এক ফল খেলে মানবদেহের ডিএনএ পরিবর্তনসহ হতে পারে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ অথচ না জেনেই আমরা এমন ফল খাচ্ছি অহরহ।
চোখ কপালের তোলার মত বিস্ময়কর তথ্য হলো বর্তমানে সময়ে আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় ফল ড্রাগনই সেই ফল, তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের টুকটুকে লাল রঙ্গের ড্রাগন ফল নয়, বরং সাম্প্রতি সময়ে বাজারে কিনতে পাওয়া ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পরিমাপের ফলের গায়ের আংশিক লাল এবং হলদে-সবুজ বর্ণের ড্রাগন ফল।

চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ফরিদগঞ্জ বাজারসহ রূপসা, গৃদকালিন্দিয়া, চান্দ্রা বাজার এমনকি উপজেলার প্রায় সব বাজারগুলোতেই ফলের দোকানগুলোতে চোখে পড়ছে বড় সাইজের এসব ড্রাগন ফল। যা কিনা নীরব ঘাতক হিসেবে ক্ষতি করছে আমার আপনার এবং কোমলমতি শিশুর শরীরে।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) ফরিদগঞ্জ বাজারে ড্রাগন ফল কিনতে আসা এক স্কুল শিক্ষকের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের, এই ফলের বিষয়ে জিঞ্জেস করতে তিনি বলেন, ফলের মধ্যে বাসায় বাচ্চারা ড্রাগন খেতে পছন্দ করে। তাই ভিন্ন সময়ে ফল কিনতে আসলে অন্যান্য ফলের তুলনায়া ড্রাগন ফলই কেনা হয়।

কথা হয় কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীদের সাথে ফলে যে ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রণ এবং ফলের আকারে বড় হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা আড়ৎ থেকে ফল কিনে এনে বিক্রি করি, এগুলো কিভাবে এত বড় হয় কিংবা কিভাবে এগুলোর চাষ করা হয় তা জানা নেই। তবে আগে ছোট আকৃতির লাল বর্ণের ড্রাগন আসতো এখন বড় আকৃতির ড্রাগনগুলো আসে।

কৃষি বিশ্লেষক ও গবেষকদের মতে, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা একটি পরিপক্ব ড্রাগন দুইশ গ্রাম থেকে আড়াইশ গ্রাম এবং লাল বর্ণের হয়। অধিক লাভের আসায় কিছু অসাধু চাষী অধিক লাভবান হওয়ার জন্য ড্রাগন ফলের ফুল আসা থেকে শুরু করে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত তিনবার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ টনিক স্পে করে, যেকারনে একেকটি ড্রাগনের ওজন আট’শ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকে আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, খুব সহসায় আমি বিষয়টি দেখবো এবং আমার উধ্বর্তন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।