ফরিদগঞ্জ ০৫:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জ এ আর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি  ফারদগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল ফরিদগঞ্জে বিদ্যুতের দাবিতে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও গৃদকালিন্দিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে বৈষম্যের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধন ফরিদগঞ্জে টিসিবির কার্ড বিতরণে ইউপি চেয়ারম্যানের চালবাজী  ফরিদগঞ্জ-রুপসা-খাজুরিয়া সড়কে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান ফরিদগঞ্জে বন্যায় দুর্গত মানুষের মাঝে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ  ফরিদগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার ও পদত্যাগের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঢাকার উত্তরখানের হত্যা মামলায় আসামী হলেন ফরিদগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পলাতক প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা

টনিক মিশ্রিত ড্রাগন ফলে সয়লাভ ফরিদগঞ্জ বাজার

শামীম হাসান
  • আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

 

এমন এক ফল খেলে মানবদেহের ডিএনএ পরিবর্তনসহ হতে পারে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ অথচ না জেনেই আমরা এমন ফল খাচ্ছি অহরহ।
চোখ কপালের তোলার মত বিস্ময়কর তথ্য হলো বর্তমানে সময়ে আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় ফল ড্রাগনই সেই ফল, তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের টুকটুকে লাল রঙ্গের ড্রাগন ফল নয়, বরং সাম্প্রতি সময়ে বাজারে কিনতে পাওয়া ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পরিমাপের ফলের গায়ের আংশিক লাল এবং হলদে-সবুজ বর্ণের ড্রাগন ফল।

চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ফরিদগঞ্জ বাজারসহ রূপসা, গৃদকালিন্দিয়া, চান্দ্রা বাজার এমনকি উপজেলার প্রায় সব বাজারগুলোতেই ফলের দোকানগুলোতে চোখে পড়ছে বড় সাইজের এসব ড্রাগন ফল। যা কিনা নীরব ঘাতক হিসেবে ক্ষতি করছে আমার আপনার এবং কোমলমতি শিশুর শরীরে।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) ফরিদগঞ্জ বাজারে ড্রাগন ফল কিনতে আসা এক স্কুল শিক্ষকের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের, এই ফলের বিষয়ে জিঞ্জেস করতে তিনি বলেন, ফলের মধ্যে বাসায় বাচ্চারা ড্রাগন খেতে পছন্দ করে। তাই ভিন্ন সময়ে ফল কিনতে আসলে অন্যান্য ফলের তুলনায়া ড্রাগন ফলই কেনা হয়।

কথা হয় কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীদের সাথে ফলে যে ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রণ এবং ফলের আকারে বড় হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা আড়ৎ থেকে ফল কিনে এনে বিক্রি করি, এগুলো কিভাবে এত বড় হয় কিংবা কিভাবে এগুলোর চাষ করা হয় তা জানা নেই। তবে আগে ছোট আকৃতির লাল বর্ণের ড্রাগন আসতো এখন বড় আকৃতির ড্রাগনগুলো আসে।

কৃষি বিশ্লেষক ও গবেষকদের মতে, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা একটি পরিপক্ব ড্রাগন দুইশ গ্রাম থেকে আড়াইশ গ্রাম এবং লাল বর্ণের হয়। অধিক লাভের আসায় কিছু অসাধু চাষী অধিক লাভবান হওয়ার জন্য ড্রাগন ফলের ফুল আসা থেকে শুরু করে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত তিনবার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ টনিক স্পে করে, যেকারনে একেকটি ড্রাগনের ওজন আট’শ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকে আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, খুব সহসায় আমি বিষয়টি দেখবো এবং আমার উধ্বর্তন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টনিক মিশ্রিত ড্রাগন ফলে সয়লাভ ফরিদগঞ্জ বাজার

আপডেট সময় : ১২:৪০:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

 

এমন এক ফল খেলে মানবদেহের ডিএনএ পরিবর্তনসহ হতে পারে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ অথচ না জেনেই আমরা এমন ফল খাচ্ছি অহরহ।
চোখ কপালের তোলার মত বিস্ময়কর তথ্য হলো বর্তমানে সময়ে আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় ফল ড্রাগনই সেই ফল, তবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের টুকটুকে লাল রঙ্গের ড্রাগন ফল নয়, বরং সাম্প্রতি সময়ে বাজারে কিনতে পাওয়া ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পরিমাপের ফলের গায়ের আংশিক লাল এবং হলদে-সবুজ বর্ণের ড্রাগন ফল।

চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ফরিদগঞ্জ বাজারসহ রূপসা, গৃদকালিন্দিয়া, চান্দ্রা বাজার এমনকি উপজেলার প্রায় সব বাজারগুলোতেই ফলের দোকানগুলোতে চোখে পড়ছে বড় সাইজের এসব ড্রাগন ফল। যা কিনা নীরব ঘাতক হিসেবে ক্ষতি করছে আমার আপনার এবং কোমলমতি শিশুর শরীরে।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) ফরিদগঞ্জ বাজারে ড্রাগন ফল কিনতে আসা এক স্কুল শিক্ষকের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের, এই ফলের বিষয়ে জিঞ্জেস করতে তিনি বলেন, ফলের মধ্যে বাসায় বাচ্চারা ড্রাগন খেতে পছন্দ করে। তাই ভিন্ন সময়ে ফল কিনতে আসলে অন্যান্য ফলের তুলনায়া ড্রাগন ফলই কেনা হয়।

কথা হয় কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীদের সাথে ফলে যে ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রণ এবং ফলের আকারে বড় হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, আমরা আড়ৎ থেকে ফল কিনে এনে বিক্রি করি, এগুলো কিভাবে এত বড় হয় কিংবা কিভাবে এগুলোর চাষ করা হয় তা জানা নেই। তবে আগে ছোট আকৃতির লাল বর্ণের ড্রাগন আসতো এখন বড় আকৃতির ড্রাগনগুলো আসে।

কৃষি বিশ্লেষক ও গবেষকদের মতে, সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করা একটি পরিপক্ব ড্রাগন দুইশ গ্রাম থেকে আড়াইশ গ্রাম এবং লাল বর্ণের হয়। অধিক লাভের আসায় কিছু অসাধু চাষী অধিক লাভবান হওয়ার জন্য ড্রাগন ফলের ফুল আসা থেকে শুরু করে পরিপক্ক হওয়া পর্যন্ত তিনবার ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ টনিক স্পে করে, যেকারনে একেকটি ড্রাগনের ওজন আট’শ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনার কাছ থেকে আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি, খুব সহসায় আমি বিষয়টি দেখবো এবং আমার উধ্বর্তন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।