ফরিদগঞ্জ ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
১০ টাকার পোশাকে গরিবের শীত বিলাস ফরিদগঞ্জে প্রতিষ্ঠাবার্ষীকিতে স্বপ্নচূড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পিং  ফরিদগঞ্জে শীতার্তদের মাঝে আইএফআইসি ব্যাংকের কম্বল বিতরণ ফরিদগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি গঠন ফরিদগঞ্জে ট্রাক্টরে শেষ হচ্ছে ফসলি জমি ফরিদগঞ্জে এম এ হান্নান কল্যাণ ট্রাস্টের শীতবস্ত্র বিতরণ ফরিদগঞ্জে আই স্পোর্টস উন্মুক্ত ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ব্যাচ ফিফটিন ফরিদগঞ্জে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ ফরিদগঞ্জে নিউ আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’র ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ ফরিদগঞ্জে কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে জামায়াতের মিছিল সমাবেশ

কলেজে না এসেও বেতন তুলছেন আওয়ামীলীগ সভাপতির স্ত্রী ! 

ফরিদগঞ্জ সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কলেজে পা পড়েনি তার। অথচ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হয়েছে যথারীতি। পেয়েছেন আগস্ট ২০২৪ মাসের বেতনও। ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথের অর্শীবাদপুষ্ট এ রাজকীয় কর্মচারীর নাম মিস তানিয়া খাতুন। তিনি কলেজটির পাঠাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত আছেন। ইনডেক্স নং- সি ৩০০০১১৫। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর স্ত্রী হিসেবে গত ৭/৮ বছর ধরে তিনি এ সুবিধা পেয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একাধিক শিক্ষক কর্মচারী জানিয়েছেন, তানিয়া খাতুনের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারী, ১৯৬৫ ইং। সে হিসেবে তার বয়স ৬০ বছর চলমান। এমপিও নীতিমালা অনুসারে তিনি ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর স্ত্রী হওয়ায় বিগত ৭/৮ বছর ধরে তিনি কলেজে না এসেই চাকরী করে গেছেন। কলেজের অধ্যক্ষরা (সাবেক ও বর্তমান) হাজিরা খাতা তার বাসায় পাঠিয়ে একসাথে কাজা স্বাক্ষরসহ আদায় করে আনতেন। ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের ইতিহাসে এমন রাজকীয় চাকরীর সুযোগ আর কেউ পাননি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুনের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি কল রিসিভ করে কথা বলেননি। এরপর কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উনি এখন পিআরএলে আছেন। পিআরএলে থাকা অবস্থায় কলেজে আসা লাগেনা। স্বাক্ষরও করা লাগেনা। তাহলে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে কেন? পিআরএল আবেদন না করেও তিনি কিভাবে পিআরএল সুবিধা পেতে পারেন? এমন প্রশ্নের সদুত্তোর না দিয়ে তিনি বলেন, আমি যা বলছি সেটাই বিশ্বাস করতে হবে। সরকারীকরণ প্রক্রিয়ার অধীনস্থ অবসরপ্রাপ্ত যেসকল শিক্ষক-কর্মচারীগণ এমপিও নীতি অনুসারে ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাদের পিআরএল কিভাবে হিসেব হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের কিছুই করার নেই। একই প্রক্রিয়ার অধীন তানিয়া খাতুনকে পিআরএলের কথা বলে অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা বৈধ কিনা? গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুন কেন ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অথবা সরকারীকরণ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
এ এ বিষয়ে জানতে চিকা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমপিও বেতন গ্রহণ করা ব্যক্তির পিআরএলের বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডলকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কলেজে না এসেও বেতন তুলছেন আওয়ামীলীগ সভাপতির স্ত্রী ! 

আপডেট সময় : ০২:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কলেজে পা পড়েনি তার। অথচ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হয়েছে যথারীতি। পেয়েছেন আগস্ট ২০২৪ মাসের বেতনও। ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথের অর্শীবাদপুষ্ট এ রাজকীয় কর্মচারীর নাম মিস তানিয়া খাতুন। তিনি কলেজটির পাঠাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগে কর্মরত আছেন। ইনডেক্স নং- সি ৩০০০১১৫। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর স্ত্রী হিসেবে গত ৭/৮ বছর ধরে তিনি এ সুবিধা পেয়ে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একাধিক শিক্ষক কর্মচারী জানিয়েছেন, তানিয়া খাতুনের জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারী, ১৯৬৫ ইং। সে হিসেবে তার বয়স ৬০ বছর চলমান। এমপিও নীতিমালা অনুসারে তিনি ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারীর স্ত্রী হওয়ায় বিগত ৭/৮ বছর ধরে তিনি কলেজে না এসেই চাকরী করে গেছেন। কলেজের অধ্যক্ষরা (সাবেক ও বর্তমান) হাজিরা খাতা তার বাসায় পাঠিয়ে একসাথে কাজা স্বাক্ষরসহ আদায় করে আনতেন। ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের ইতিহাসে এমন রাজকীয় চাকরীর সুযোগ আর কেউ পাননি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুনের নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি কল রিসিভ করে কথা বলেননি। এরপর কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নেপাল চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উনি এখন পিআরএলে আছেন। পিআরএলে থাকা অবস্থায় কলেজে আসা লাগেনা। স্বাক্ষরও করা লাগেনা। তাহলে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে কেন? পিআরএল আবেদন না করেও তিনি কিভাবে পিআরএল সুবিধা পেতে পারেন? এমন প্রশ্নের সদুত্তোর না দিয়ে তিনি বলেন, আমি যা বলছি সেটাই বিশ্বাস করতে হবে। সরকারীকরণ প্রক্রিয়ার অধীনস্থ অবসরপ্রাপ্ত যেসকল শিক্ষক-কর্মচারীগণ এমপিও নীতি অনুসারে ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে গেছেন তাদের পিআরএল কিভাবে হিসেব হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তাদের কিছুই করার নেই। একই প্রক্রিয়ার অধীন তানিয়া খাতুনকে পিআরএলের কথা বলে অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা বৈধ কিনা? গ্রন্থাগারিক তানিয়া খাতুন কেন ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অথবা সরকারীকরণ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন না? এসব প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
এ এ বিষয়ে জানতে চিকা চাঁদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমপিও বেতন গ্রহণ করা ব্যক্তির পিআরএলের বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডলকে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।