সড়ক প্রকল্পে লুটপাট হওয়া রাস্তা টিকবে কতদিন?

- আপডেট সময় : ০৩:৪৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মিরপুর সড়কের নির্মাণ কাজ ঘিরে একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। কোটি টাকার প্রকল্প হলেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি— পানির ওপর অপর্যাপ্ত সিমেন্ট-বালির মিশ্রণ দিয়ে ইট বসানো হচ্ছে, যা টেকসই সড়ক নির্মাণের মৌলিক নিয়মেরই লঙ্ঘন।
মিরপুর সড়ক ফরিদগঞ্জ-মিরপুর অঞ্চলের হাজারো মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। সেই সড়কেই যখন এভাবে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে, তখন ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, “সরকার জনগণের সুবিধার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু কিছু অসাধু ঠিকাদার ও কর্মকর্তার যোগসাজশে সেই টাকা লুটপাট হচ্ছে। এর খেসারত দিতে হবে আমাদেরই।”
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা নিয়মনীতি মানছেন না। সঠিক অনুপাতে সিমেন্ট-বালি ব্যবহার না করে, কেবল পানির ওপর সরাসরি ইট বসিয়ে কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, কয়েক মাসের মধ্যেই এই সড়ক ভেঙে পড়বে।
প্রতিবেদকের সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়— নির্মাণাধীন অংশে পানির ওপর সোজাসুজি ইট বসানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও ইট বসানোর ফাঁকফোকর স্পষ্ট। নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিমেন্ট-বালির মিশ্রণ যথেষ্ট দেওয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, “কাজের স্থানে আমাদের লোক আছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌরসভার লোকজন উপস্থিত থাকলেও অনিয়ম রোধ হচ্ছে না। বরং তাদের নীরব ভূমিকা থেকেই দুর্নীতির যোগসাজশের ইঙ্গিত মেলে।
নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, পানির ওপর সরাসরি ইট বসানো সড়কের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এতে মাটির সঙ্গে ইটের বন্ধন তৈরি হয় না। কয়েক মাসের মধ্যেই সড়ক ধসে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। ফলে সরকারের অর্থ অপচয় হবে, জনগণের ভোগান্তি বাড়বে।
এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও নিম্নমানের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে জনগণ কখনোই তার সুফল পাবে না। তারা দ্রুত তদন্ত এবং কঠোর তদারকির দাবি জানিয়েছেন।