ফরিদগঞ্জ ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী নেই, কার্যক্রম বন্ধ, তবু চলছে মাদ্রাসার নামে চাঁদা সংগ্রহ ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ শাহনাজের মৃত্যু।। উত্তেজিত জনতার নাসিমার ঘরে আগুন বৃষ্টিতে স্থগিত করা হলো জেলা প্রশাসক কাপের ফাইনাল ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা ॥ নারী সুদ ব্যবসায়ী আটক ফরিদগঞ্জে এম এ হান্নানের মনোনয়ন দাবিতে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের মিছিল-সমাবেশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাহসিন মিলনের শুভেচ্ছা বার্তা সুদিন ফেরাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চায় ফরিদগঞ্জের আখ চাষিরা ফরিদগঞ্জ সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি হান্নান ও সাধারন সম্পাদক রিপন বিধবা ভাতার কার্ড আটকে রেখে আদায় করলেন টাকা

সুদিন ফেরাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চায় ফরিদগঞ্জের আখ চাষিরা

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

 

কোন প্রকার রোগ ও পোকার আক্রমন না থাকায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে, অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। কিন্তু মধ্যসত্তভোগী ও সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ চাষিদের। এদিকে আখ চাষে স্বাবলম্বী এ উপজেলার কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে, দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ হচ্ছে এ উপজেলার আখ। তবে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ফলন ভাল হলেও মধ্যসত্তভোগী ও সিন্ডিকেটের কারনে পাইকারী বাজারে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়া পুঁজি স্বল্পতা, উন্নত প্রযুক্তির অভাবে চাষকাজ সমৃদ্ধ হচ্ছেনা।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে চড়াদামে আখ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। আবার খুচরা বিক্রেতারা জানায়, বেপারীদের কাছ থেকে অধিক দামে আখ ক্রয় করায় বেশি দামে খুচরা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

কৃষি বিভাগের সঠিক তদারকি থাকায় এ বছর আখের অধিক সফল হয়েছে। পাশাপাশি সঠিক মূল্য পেতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের আখ বিক্রির নানা পরামর্শ দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে উাপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চাষীরা জানান, বন্যা পরবর্তী সময়ে চাষের আসল টাকা ওঠানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে কোন সহায়তাও পাওয়া যায়নি। এখন এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারী সহায়তা চান চাষীরা।

লোহাগড় গ্রামের আখ চাষি মো. খলিল তপদার জানান, তিনি বাল্যকাল থেকেই কৃষি আবাদের সাথে জড়িত। এ বছর ১শ ৫০ শতক জমিতে তিনি আখ চাষ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে মৌখিকভাবে পরামর্শ দিলেও কোন প্রকার প্রনোদনা দেয়া হয়নি। আখের ফলনও ভালো হয়েছে, কিন্তু বেপারীদের কাছে আখের মূল্য কম পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন তিনি। আখ চাষিদের সুদিন ফেরাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চেয়েছেন তিনি।

আরেক চাষি নুরুল ইসলাম জানান, তার ৭০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করতে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া লাখ টাকার আখ তিনি বিক্রি করেছেন। বেপারীরা আখের দাম কম দেয়ায় বাম্পার ফলনেও লাভের মুখ দেখছেন না তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, এবছর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। আখ চাষীদের কোনো বরাদ্দ আসেনা, তবে তাদের নানান পরামর্শ দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুদিন ফেরাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চায় ফরিদগঞ্জের আখ চাষিরা

আপডেট সময় : ০৪:৩২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

কোন প্রকার রোগ ও পোকার আক্রমন না থাকায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে, অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। কিন্তু মধ্যসত্তভোগী ও সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ চাষিদের। এদিকে আখ চাষে স্বাবলম্বী এ উপজেলার কৃষকরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে, দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ হচ্ছে এ উপজেলার আখ। তবে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ফলন ভাল হলেও মধ্যসত্তভোগী ও সিন্ডিকেটের কারনে পাইকারী বাজারে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়া পুঁজি স্বল্পতা, উন্নত প্রযুক্তির অভাবে চাষকাজ সমৃদ্ধ হচ্ছেনা।
অন্যদিকে খুচরা বাজারে চড়াদামে আখ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। আবার খুচরা বিক্রেতারা জানায়, বেপারীদের কাছ থেকে অধিক দামে আখ ক্রয় করায় বেশি দামে খুচরা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

কৃষি বিভাগের সঠিক তদারকি থাকায় এ বছর আখের অধিক সফল হয়েছে। পাশাপাশি সঠিক মূল্য পেতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের আখ বিক্রির নানা পরামর্শ দিচ্ছে বলেও জানিয়েছে উাপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চাষীরা জানান, বন্যা পরবর্তী সময়ে চাষের আসল টাকা ওঠানো সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে কোন সহায়তাও পাওয়া যায়নি। এখন এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারী সহায়তা চান চাষীরা।

লোহাগড় গ্রামের আখ চাষি মো. খলিল তপদার জানান, তিনি বাল্যকাল থেকেই কৃষি আবাদের সাথে জড়িত। এ বছর ১শ ৫০ শতক জমিতে তিনি আখ চাষ করেছেন। কৃষি অফিস থেকে মৌখিকভাবে পরামর্শ দিলেও কোন প্রকার প্রনোদনা দেয়া হয়নি। আখের ফলনও ভালো হয়েছে, কিন্তু বেপারীদের কাছে আখের মূল্য কম পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন তিনি। আখ চাষিদের সুদিন ফেরাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চেয়েছেন তিনি।

আরেক চাষি নুরুল ইসলাম জানান, তার ৭০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করতে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া লাখ টাকার আখ তিনি বিক্রি করেছেন। বেপারীরা আখের দাম কম দেয়ায় বাম্পার ফলনেও লাভের মুখ দেখছেন না তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, এবছর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। আখ চাষীদের কোনো বরাদ্দ আসেনা, তবে তাদের নানান পরামর্শ দেয়া হয়।