কোনরূপ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে একটি পরকিয়ার ঘটনাকে আড়াল করতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে তার স্বামীসহ দুইজন কারাভোগ করছে। এই ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫) বিকালে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা বেগম নামে ভুক্তভোগীর স্ত্রী দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সেলিনা বেগম বলেন, তার স্বামী মোঃ মানিক একজন সাধারণ কাঠমিস্ত্রি। পুর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গত বৃহষ্পতিবার (২১ আগস্ট) সুমি আক্তার নামের এক নারী পরকীয়া তার পরকিয়া প্রেমিক বেলায়েত হোসেনকে নিয়ে তার বাসায় আসে। বেলায়েত হোসেন অপরিচিত হওয়ায় তার সন্দেহ হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে সুমি ও তার সঙ্গী বাসা থেকে চলে যায়।
পরদিন শুক্রবার (২২ আগস্ট) ওই বেলায়েত উল্টো মানিক, তার বন্ধু রিয়াদসহ আরও একজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। একইদিন স্থানীয় রাজনীতিবিদ আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে আল মদিনা হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে মানিক ও রিয়াদকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশকে তাদেরকে চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে দেখিয়ে মামলা দায়ের পূর্বক চাঁদপুর পাঠিয়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও দাবি করেন, “কোনো তদন্ত ছাড়াই পুলিশ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার স্বামী ও তার বন্ধু নির্দোষ হয়েও কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। আমি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।”
এ ঘটনায় তিনি ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার, স্বামী ও তার বন্ধুর নিঃশর্ত মুক্তি এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।