ফরিদগঞ্জ ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে মাদক মামলা সাক্ষী হওয়ার খেসারত দিতে হলো এক যুবককে ইসলামী ব্যাংকে একচ্চত্র ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বিমানবন্দর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী নেই, কার্যক্রম বন্ধ, তবু চলছে মাদ্রাসার নামে চাঁদা সংগ্রহ ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ শাহনাজের মৃত্যু।। উত্তেজিত জনতার নাসিমার ঘরে আগুন বৃষ্টিতে স্থগিত করা হলো জেলা প্রশাসক কাপের ফাইনাল ফরিদগঞ্জে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা ॥ নারী সুদ ব্যবসায়ী আটক ফরিদগঞ্জে এম এ হান্নানের মনোনয়ন দাবিতে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের মিছিল-সমাবেশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তাহসিন মিলনের শুভেচ্ছা বার্তা সুদিন ফেরাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা চায় ফরিদগঞ্জের আখ চাষিরা

ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে মা খু_ন

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ৪৪৩ বার পড়া হয়েছে

ফরিদগঞ্জে ফয়েজ নামে এক যুবকের কাঠের টুকরোর আঘাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফয়েজ মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে দাবি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নাগাদ উপজেলার পূর্ব চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপুর কুট্টি ভুইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম কাউছারা বেগম (৬০) বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউছারা বেগম বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় তার ছেলে মাওলানা ফয়েজ একটি কাঠের টুকরো হাতে নিয়ে মাকে সজোরে আঘাত করেন। এতে, তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে যান। তাদের কাছে খবর পেয়ে অন্য দুই ছেলে ছুটে যান। তারা কাউছারা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদ উজ জামান জুয়েল জানান, মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে আহত নারীর মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের অপর ছেলের স্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে একটি আওয়াজ কানে আসে। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আম্মা মাটিতে পড়ে আছেন। দ্রুত শ্বশুরকে খবর দেই। তিনিসহ দেবররা এসে আম্মাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি বাইরে গিয়ে দেখি ফয়েজ এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে তিনি ঘরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। তিনি আরও জানান, ফয়েজ প্রায় ১০ বছর যাবত মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে।

খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই আমজাদ ও এসআই. খোকনসহ পুলিশ ঘটানস্থলে যান। তারা ঘটনার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেন।

পুলিশ ফয়েজকে দরজা খুলতে বললে ফয়েজ খুব সহজে দরজা খুলে দেন। ওই সময় তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমাকে গুলি করে দেন’। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। এ বিষয়ে, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ আলম বলেছেন, ছেলের হাতে মা খুন হওয়ার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ফয়েজ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে মা খু_ন

আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

ফরিদগঞ্জে ফয়েজ নামে এক যুবকের কাঠের টুকরোর আঘাতে তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ফয়েজ মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে দাবি করছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নাগাদ উপজেলার পূর্ব চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপুর কুট্টি ভুইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম কাউছারা বেগম (৬০) বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউছারা বেগম বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় তার ছেলে মাওলানা ফয়েজ একটি কাঠের টুকরো হাতে নিয়ে মাকে সজোরে আঘাত করেন। এতে, তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে যান। তাদের কাছে খবর পেয়ে অন্য দুই ছেলে ছুটে যান। তারা কাউছারা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদ উজ জামান জুয়েল জানান, মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে আহত নারীর মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের অপর ছেলের স্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে একটি আওয়াজ কানে আসে। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আম্মা মাটিতে পড়ে আছেন। দ্রুত শ্বশুরকে খবর দেই। তিনিসহ দেবররা এসে আম্মাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি বাইরে গিয়ে দেখি ফয়েজ এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে তিনি ঘরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। তিনি আরও জানান, ফয়েজ প্রায় ১০ বছর যাবত মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে।

খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই আমজাদ ও এসআই. খোকনসহ পুলিশ ঘটানস্থলে যান। তারা ঘটনার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেন।

পুলিশ ফয়েজকে দরজা খুলতে বললে ফয়েজ খুব সহজে দরজা খুলে দেন। ওই সময় তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমাকে গুলি করে দেন’। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন। এ বিষয়ে, ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ আলম বলেছেন, ছেলের হাতে মা খুন হওয়ার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ফয়েজ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।