ফরিদগঞ্জ ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে মহিলা সমাবেশ ফরিদগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী বদলের দাবিতে এবার মহিলা দলের মানববন্ধন পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে ফরিদগঞ্জে বিএনপি কর্মীদের টানা সড়ক অবরোধ মনোনয়ন বিতর্কে উত্তপ্ত ফরিদগঞ্জ, এনডিপির প্রেস ব্রিফিংয়ে তোলপাড় ফরিদগঞ্জ রাজনীতি ‘আমি রোহিঙ্গা হয়ে আসিনি, ফরিদগঞ্জেই আমার জন্ম’ – লায়ন হারুনুর রশিদ চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির নেতৃত্ব সংকট ঘিরে অরাজকতা—এনডিপি চেয়ারম্যানের তীব্র সমালোচনা ফরিদগঞ্জে মাদক মামলা সাক্ষী হওয়ার খেসারত দিতে হলো এক যুবককে ইসলামী ব্যাংকে একচ্চত্র ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ বিমানবন্দর থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী নেই, কার্যক্রম বন্ধ, তবু চলছে মাদ্রাসার নামে চাঁদা সংগ্রহ

ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পেরে বৃদ্ধের গলায় ফাঁ_স দিয়ে আ_ত্ম_হ_ত্যা

ফরিদগঞ্জ সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মৃণাল রায় (৬০) নামে একজন এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিভিন্ন এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে তিনি এই ঘটনা ঘটান। মৃত্যুর পুর্বে লিখে যাওয়া একটি চিরকুটে তিনি মৃত্যুর কারণ এবং ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যান। মৃত মৃণাল রায় কড়ৈতলী গ্রামের  মৃত গোপাল রায়ের ছেলে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মৃণাল রায় বিদ্যু বিভাগের লাইসেন্সধারী মিন্ত্রি ছিলেন। পরিবারে তেমন কোন ঝামেলা ছিল না। তবে অর্থনৈতিক ভাবে বেশি সমস্যায় ছিলেন। মৃত্যুর পুর্বে নিজের হাতে লিখে যাওয়া চিরকুটে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির চাপে তিনি মৃত্যুর এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি তার ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে ভালবাসেন। একদিনও তাদের ছাড়া থাকেন নি, বলে উল্লেখ করে যান।
মৃণাল রায়ের ছেলে তমাল রায় জানান, আমাদের পরিবারে কোন কলহ ছিলো না। এনজিওর কিস্তির টাকাসহ কিছু ঋণ আছে। আমরা রাতে এক সাথে রাতে ঘুমাইতে গিয়েছি। মা-বাবা একরুমেই ছিলো। সকালে মা ঘুম থেকে উঠে দেখে দরজার বাহির দিয়ে শিকল দেয়া। আত্মহত্যার আগে একটা কাগজ লিখে দিয়ে গেছে, লিখে গেছে বাবার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন জিতু বলেন, কিছু ঋণ আছে, বিশেষ করে কিস্তির টাকার জন্য মানসিক ভাবে হতাশা গ্রস্থ ছিলেন।
পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হোসেন আহমেদ রাজন বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক, আমি আত্মহত্যার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।, কিছু ঋণ আছে, যার মধ্যে কিস্তির টাকাই বেশি, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এটাই দেখা যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পেরে বৃদ্ধের গলায় ফাঁ_স দিয়ে আ_ত্ম_হ_ত্যা

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
ফরিদগঞ্জ উপজেলার মৃণাল রায় (৬০) নামে একজন এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিভিন্ন এনজিও ঋণের কিস্তির চাপ সহ্য করতে না পেরে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নে সোমবার (৮ জুলাই) ভোরে তিনি এই ঘটনা ঘটান। মৃত্যুর পুর্বে লিখে যাওয়া একটি চিরকুটে তিনি মৃত্যুর কারণ এবং ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যান। মৃত মৃণাল রায় কড়ৈতলী গ্রামের  মৃত গোপাল রায়ের ছেলে। এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
স্থানীয় লোকজন জানায়, মৃণাল রায় বিদ্যু বিভাগের লাইসেন্সধারী মিন্ত্রি ছিলেন। পরিবারে তেমন কোন ঝামেলা ছিল না। তবে অর্থনৈতিক ভাবে বেশি সমস্যায় ছিলেন। মৃত্যুর পুর্বে নিজের হাতে লিখে যাওয়া চিরকুটে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে নেয়া ঋণের কিস্তির চাপে তিনি মৃত্যুর এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি তার ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে ভালবাসেন। একদিনও তাদের ছাড়া থাকেন নি, বলে উল্লেখ করে যান।
মৃণাল রায়ের ছেলে তমাল রায় জানান, আমাদের পরিবারে কোন কলহ ছিলো না। এনজিওর কিস্তির টাকাসহ কিছু ঋণ আছে। আমরা রাতে এক সাথে রাতে ঘুমাইতে গিয়েছি। মা-বাবা একরুমেই ছিলো। সকালে মা ঘুম থেকে উঠে দেখে দরজার বাহির দিয়ে শিকল দেয়া। আত্মহত্যার আগে একটা কাগজ লিখে দিয়ে গেছে, লিখে গেছে বাবার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন জিতু বলেন, কিছু ঋণ আছে, বিশেষ করে কিস্তির টাকার জন্য মানসিক ভাবে হতাশা গ্রস্থ ছিলেন।
পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হোসেন আহমেদ রাজন বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক, আমি আত্মহত্যার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।, কিছু ঋণ আছে, যার মধ্যে কিস্তির টাকাই বেশি, আত্মহত্যার কারণ হিসেবে এটাই দেখা যাচ্ছে।