ফরিদগঞ্জ ১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে বর্ণমালা কিন্ডারগার্টেনের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান  ফরিদগঞ্জে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা।। সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ইউপি সদস্যসহ আ_হ_ত ৯ জন ফরিদগঞ্জে প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপেক্ষা করে সড়কে রাবিশের উপরই চলছে নির্মাণ কাজ ফরিদগঞ্জে কিশোরের ঝু_ল_ন্ত ম_র_দে_হ উদ্ধার কেন্দ্রীয় যুবদল কে অভিনন্দন  জানিয়ে ফরিদগঞ্জ  উপজেলা ও পৌর যুবদলের আনন্দ মিছিল  ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পারায় ঘরে তালা দিলো এনজিওকর্মী  ফরিদগঞ্জে স্বপ্নছায়া সামাজিক সংগঠনের ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী ফরিদগঞ্জে কিস্তির টাকা না দিতে পেরে বৃদ্ধের গলায় ফাঁ_স দিয়ে আ_ত্ম_হ_ত্যা আইডিয়াল সমাজসেবা ফাউন্ডেশনের ইলেকট্রিক হুইল চেয়ার পেলো পঙ্গু হেলাল বিক্ষোভের মুখে পড়ে চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধ ।। আন্দোলন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ফের টোল আদায় শুরু

লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমানের বেঁচে থাকার আকুতি

শামীম হাসান
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ৪১২ বার পড়া হয়েছে
যে দুটি চোঁখে স্বপ্ন দেখার কথা নিজের উজ্জ্বল  ভবিষ্যতের, অশ্রুঝরা সেই চোঁখ দুটিতে যেন এখন শুধুই একটু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নির্মূল আকুতি। ২০১৯ চাঁদপুর সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পাশ করা ওসমান গাজীর।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাহাপুর দেওয়ানজি বাড়ির বাসিন্ধা শহিদুল্লাহ গাজীর ছোট ছেলে ওসমান গাজী ২০০৮ থেকে ভুগছেন লিভার জনিত সমস্যায়। খাবার খেলেই পেটপুলে যাওয়া হাত ও পা ফুলে যাওয়ায় সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে স্থানীয় ডাক্তারদের পরামর্শে খেয়েছেন বহু ঔষধ, তাতে স্বাস্থ্যের উন্নতি তো দূরের কথা ক্রমাগত শরীরের অবস্থা অবনতির দিকে। খাবার খেলেই এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় একটুখানি সস্তি পেতে এখন প্রায় দিনগুলো অনাহারেই কাটিয়ে দেয় ওসমান। ক্রমাগত নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি দেখে স্থানীয় বাজারের চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে প্রয়োজনীয় কিছু পরিক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার জানান অপারেশনের কথা। যা করতে প্রয়োজন লক্ষাধিক টাকা।
নিজের পড়াশোনাকালীন সময়ে পড়াশোনার পাশাপাশি একটু ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানিতে চাকরি করা ও টিউশন করে উপার্জনের পথ খোলা থাকলে অসুস্থতায় পড়ে হারিয়েছেন সেই কোম্পানির চাকরিটিও। বৃদ্ধ বাবা-মাসহ ৭ সদস্যের পরিবারের খাবারের  চাহিদা যোগান দিতে অসুস্থ শরীর নিয়েই ফের অন্য একটি ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন। যেখানে পরিবারের সদস্যদের দু-মুঠি ভাত ও নিজের ঔষধ খরচ চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে ওসমান সেখানে লক্ষাধিক টাকায় নিজের অপরেশন করা নেহাত কল্পনা মাত্র।
লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমান গাজীর মা রাশিদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বৃদ্ধ বয়সী স্বামীর উপার্জন ক্ষমতা না থাকায় ছেলের উপার্জনের উপর নির্ভর করেই চলতো সংসার। ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর সব এলোমেলো হয়ে গেছে। ছেলে সংসারের খরচ চালাবে না নিজের চিকিৎসা চালাবে, সবমিলিয়ে অসহায় অবস্থায় আছে আমার পরিবার। ঢাকায় হাসপাতালের ডাক্তার বলেছে অপারেশনের কথা। ঘর-ভিটি ছাড়া আর কোন সম্পত্তিও নেই যে, তা বিক্রি করে ছেলের অপারেশন করাবো। এমন অবস্থায় সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে আমরা ছেলেটার চিকিৎসা করা যাবে।
লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমান গাজীকে চিকিৎসা সহায়তা করতে যোগাযোগ করতে কিংবা নগদ অর্থ সহায়তা করতে (বিকাশ, নগদ, ডাচবাংলা : 01914894799)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমানের বেঁচে থাকার আকুতি

আপডেট সময় : ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
যে দুটি চোঁখে স্বপ্ন দেখার কথা নিজের উজ্জ্বল  ভবিষ্যতের, অশ্রুঝরা সেই চোঁখ দুটিতে যেন এখন শুধুই একটু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার নির্মূল আকুতি। ২০১৯ চাঁদপুর সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স পাশ করা ওসমান গাজীর।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাহাপুর দেওয়ানজি বাড়ির বাসিন্ধা শহিদুল্লাহ গাজীর ছোট ছেলে ওসমান গাজী ২০০৮ থেকে ভুগছেন লিভার জনিত সমস্যায়। খাবার খেলেই পেটপুলে যাওয়া হাত ও পা ফুলে যাওয়ায় সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে স্থানীয় ডাক্তারদের পরামর্শে খেয়েছেন বহু ঔষধ, তাতে স্বাস্থ্যের উন্নতি তো দূরের কথা ক্রমাগত শরীরের অবস্থা অবনতির দিকে। খাবার খেলেই এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় একটুখানি সস্তি পেতে এখন প্রায় দিনগুলো অনাহারেই কাটিয়ে দেয় ওসমান। ক্রমাগত নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি দেখে স্থানীয় বাজারের চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে প্রয়োজনীয় কিছু পরিক্ষা নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার জানান অপারেশনের কথা। যা করতে প্রয়োজন লক্ষাধিক টাকা।
নিজের পড়াশোনাকালীন সময়ে পড়াশোনার পাশাপাশি একটু ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানিতে চাকরি করা ও টিউশন করে উপার্জনের পথ খোলা থাকলে অসুস্থতায় পড়ে হারিয়েছেন সেই কোম্পানির চাকরিটিও। বৃদ্ধ বাবা-মাসহ ৭ সদস্যের পরিবারের খাবারের  চাহিদা যোগান দিতে অসুস্থ শরীর নিয়েই ফের অন্য একটি ফুড প্রোডাক্ট কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন। যেখানে পরিবারের সদস্যদের দু-মুঠি ভাত ও নিজের ঔষধ খরচ চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে ওসমান সেখানে লক্ষাধিক টাকায় নিজের অপরেশন করা নেহাত কল্পনা মাত্র।
লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমান গাজীর মা রাশিদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বৃদ্ধ বয়সী স্বামীর উপার্জন ক্ষমতা না থাকায় ছেলের উপার্জনের উপর নির্ভর করেই চলতো সংসার। ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর সব এলোমেলো হয়ে গেছে। ছেলে সংসারের খরচ চালাবে না নিজের চিকিৎসা চালাবে, সবমিলিয়ে অসহায় অবস্থায় আছে আমার পরিবার। ঢাকায় হাসপাতালের ডাক্তার বলেছে অপারেশনের কথা। ঘর-ভিটি ছাড়া আর কোন সম্পত্তিও নেই যে, তা বিক্রি করে ছেলের অপারেশন করাবো। এমন অবস্থায় সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে আমরা ছেলেটার চিকিৎসা করা যাবে।
লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমান গাজীকে চিকিৎসা সহায়তা করতে যোগাযোগ করতে কিংবা নগদ অর্থ সহায়তা করতে (বিকাশ, নগদ, ডাচবাংলা : 01914894799)