ফরিদগঞ্জ ১২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফরিদগঞ্জে ফসলি জমি রক্ষার্থে কৃষকদের গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন

ফরিদগঞ্জ সংবাদ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪ ১৪০ বার পড়া হয়েছে

 

বছরে দুটি ফসল উৎপাদন হয়। এই উৎপাদিত ধান দিয়ে সংসার চলে এলাকার শতাধিক কৃষক পরিবারের সংসার। কিন্তু ৪০ একর ফসলি জমি ঘিরে মৎস্য চাষের জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে। ঈদের পুর্বে মাটি কাটার মেশিন ভেকু নিয়ে আসলেও কৃষকদের বাঁধার মুখে আপাতত ভেকু ফিরে গেলেও যেভাবেই হউক ফসলি জমিতে মাছের খামার গড়ে তুলবেন এমন হুমকিতে আতংকিত কৃষকরা। বাধ্য হয়ে ফসলি জমি রক্ষার জন্য গত সোমবার(২৪ জুন) উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন করেছে স্থানীয় কৃষকরা। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ।
দায়েরকৃত আবেদন ও স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাঁসা ও চরভাগল গ্রামের বিলের (আইলের রাস্তার দক্ষিণ অংশ) প্রায় দুই গ্রামের ৭০/৮০জন লোকের ৪০ একর ফসলি জমি রয়েছে। ওই কৃষকরা ছাড়াও এই জমির উপর আরো বেশ কিছু পরিবার। যারা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালায়।
স্থানীয় কৃষক শাহাদাত তালুকদার. আমান খলিফা, মোহাম্মদ হোসেন, হান্নান মিজি, লুৎফুর রহমান, আমেনা বেগম, ফাহিমা বেগমম কুসুম বেগমসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, ৪০ একরের এই বিলের জমিতে তারা বছরে দুটি ধানের আবাদা করে থাকেন। কৃষি অফিস সহয়তা করলে আবাদ বাড়ার সাথে সাথে সাথী ফসলও করা সম্ভব। কিন্তু হঠাৎ করেই স্থানীয় প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী আব্বাস ও তার কিছু অনুসারি কিছু জমি কিনে নিয়ে পুরো বিলে মৎস্য চাষের প্রজেক্ট করতে পায়তারা শুরু করেছে। ঈদের আগে গত ১০জুন রাতে জাহাঙ্গীর পাটওয়ারীর আব্বাস এর লোকজন মাটি কাটার মেশিন ভেকু নিয়ে ফসলি জমিতে আসলেও কৃষকদের বাঁধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে দিনের বেলায় মাটি কাটার মেশিন ভেকু সরিয়ে নিয়ে যায় এবং হুমকি দিয়ে যায় যে, আমরা যেভাবেই হউক উক্ত কৃষি জমিতে মৎস্য চাষ করবে। ফলে কৃষকরা আতংকে রয়েছেন।
কৃষকরা জানায়. তাদের এই জমি দিয়েই বছরের খাবারের ব্যবস্থা হয়। অধিকাংশ কৃষকের এই বিলের একখণ্ড ফসলি জমি ব্যতীত অন্য কোথাও ফসলি জমি নেই। তাই তারা জমি রক্ষায় আবেদন করেছেন।
এব্যাপারে জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী আব্বাস মুঠো ফোনে জানান, কৃষকরা জমি না দিলে কিছু করার নেই। তবে ধানের আবাদের চেয়ে মাছের আবাদে লাভ বেশি। সেই দিক বিবেচনা করেছিলাম।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল জানান, কৃষকদের আবেদন তিনি পেয়েছেন। ফসলি জমিতে ভেকু চালানো যাবে না। কৃষি কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে তদন্ত করতে পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফরিদগঞ্জে ফসলি জমি রক্ষার্থে কৃষকদের গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন

আপডেট সময় : ০৫:২৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

 

বছরে দুটি ফসল উৎপাদন হয়। এই উৎপাদিত ধান দিয়ে সংসার চলে এলাকার শতাধিক কৃষক পরিবারের সংসার। কিন্তু ৪০ একর ফসলি জমি ঘিরে মৎস্য চাষের জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে। ঈদের পুর্বে মাটি কাটার মেশিন ভেকু নিয়ে আসলেও কৃষকদের বাঁধার মুখে আপাতত ভেকু ফিরে গেলেও যেভাবেই হউক ফসলি জমিতে মাছের খামার গড়ে তুলবেন এমন হুমকিতে আতংকিত কৃষকরা। বাধ্য হয়ে ফসলি জমি রক্ষার জন্য গত সোমবার(২৪ জুন) উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন করেছে স্থানীয় কৃষকরা। ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ।
দায়েরকৃত আবেদন ও স্থানীয় কৃষকদের সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাঁসা ও চরভাগল গ্রামের বিলের (আইলের রাস্তার দক্ষিণ অংশ) প্রায় দুই গ্রামের ৭০/৮০জন লোকের ৪০ একর ফসলি জমি রয়েছে। ওই কৃষকরা ছাড়াও এই জমির উপর আরো বেশ কিছু পরিবার। যারা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে সংসার চালায়।
স্থানীয় কৃষক শাহাদাত তালুকদার. আমান খলিফা, মোহাম্মদ হোসেন, হান্নান মিজি, লুৎফুর রহমান, আমেনা বেগম, ফাহিমা বেগমম কুসুম বেগমসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, ৪০ একরের এই বিলের জমিতে তারা বছরে দুটি ধানের আবাদা করে থাকেন। কৃষি অফিস সহয়তা করলে আবাদ বাড়ার সাথে সাথে সাথী ফসলও করা সম্ভব। কিন্তু হঠাৎ করেই স্থানীয় প্রভাবশালী জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী আব্বাস ও তার কিছু অনুসারি কিছু জমি কিনে নিয়ে পুরো বিলে মৎস্য চাষের প্রজেক্ট করতে পায়তারা শুরু করেছে। ঈদের আগে গত ১০জুন রাতে জাহাঙ্গীর পাটওয়ারীর আব্বাস এর লোকজন মাটি কাটার মেশিন ভেকু নিয়ে ফসলি জমিতে আসলেও কৃষকদের বাঁধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে দিনের বেলায় মাটি কাটার মেশিন ভেকু সরিয়ে নিয়ে যায় এবং হুমকি দিয়ে যায় যে, আমরা যেভাবেই হউক উক্ত কৃষি জমিতে মৎস্য চাষ করবে। ফলে কৃষকরা আতংকে রয়েছেন।
কৃষকরা জানায়. তাদের এই জমি দিয়েই বছরের খাবারের ব্যবস্থা হয়। অধিকাংশ কৃষকের এই বিলের একখণ্ড ফসলি জমি ব্যতীত অন্য কোথাও ফসলি জমি নেই। তাই তারা জমি রক্ষায় আবেদন করেছেন।
এব্যাপারে জাহাঙ্গীর পাটওয়ারী আব্বাস মুঠো ফোনে জানান, কৃষকরা জমি না দিলে কিছু করার নেই। তবে ধানের আবাদের চেয়ে মাছের আবাদে লাভ বেশি। সেই দিক বিবেচনা করেছিলাম।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল জানান, কৃষকদের আবেদন তিনি পেয়েছেন। ফসলি জমিতে ভেকু চালানো যাবে না। কৃষি কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে তদন্ত করতে পাঠানো হবে।