ফরিদগঞ্জ ০৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জ পৌরবাসীর স্বপ্নের রাস্তায় ভরসার বদলে হতাশা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্বপ্ন ছায়ার সবুজ বার্তা ফরিদগঞ্জে বিএনপি অফিসে হামলার মামলায় সাবেক এমপি’র প্রতিনিধি আটক ফরিদগঞ্জের রূপসা (দঃ) ইউনিয়ন যুবদলের নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল ফরিদগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে যুবদল নেতার নার্সারি থেকে গাঁজার গাছ উদ্ধার ফরিদগঞ্জে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু ফরিদগঞ্জের রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন ফরিদগঞ্জে সাইন্টিফিক স্কুলে চুরির ঘটনা, থানায় অভিযোগ দায়ের ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি ভেঙে পড়লো ফাঁসের দড়িতে  ফরিদগঞ্জে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ইউএনও’র অভিযান

ফরিদগঞ্জের দায়চারা গ্রামে ভয়-ভীতি ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় হাফেজ ফজলুল করিম পরিবার

আমান উল্লাহ খান ফারাবী
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

 

ভয়-বিতী ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের মোল্লাবাড়ির মোঃ ফজলুল করিম পরিবার। এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি জিডি রয়েছে, জিডি নং ৮৫৭।

ঘটনার আলোকে দায়চারা মোল্লা বাড়িতে গেলে অভিযোগকারী মোঃ ফজলুল করিম বলেন, তিনি একই বাড়ির ওয়াহেদ আলীর পুত্র অলীমুদ্দিন ও খলিলুর রহমানের দুই পুত্র আব্দুর রব মোল্লা ও মনোহর মোল্লা এবং ভেলুয়া সুন্দরী থেকে মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ৭৫৮ দাগে এক শতাংশ সম্পত্তি সাফকবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৮৪ ৯৪/২৪-০৮-৮৭। এছাড়া আব্দুল মতিন মোল্লা ও আবুল হোসেন মোল্লাদের মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ক্রয় করেন ১ শতাংশ। যার সাপ কবলা দলিল নং ৮৫৬২/২৭-০৮-৮৭। এবং তিনি এই সম্পত্তি দীর্ঘদিন বোঘ-দখল করে আসছেন। এছাড়া বাড়ির এজমালি একটি পুকুর ইজারা দিতে গেলে সেই পুকুরটি তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পায়। এবং চুক্তি মোতাবেক তিনি সেই পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু আমাদের বাড়ির নেছার আহমেদ মোল্লা ও তার ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন সহ তাদের পরিবারের অন্যান্যরা চায়না আমার পরিবার বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তারা আমার ২ শতাংশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এবং ইতিপূর্বে অনেকবার আমাকে মারার চেষ্টাও করেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, তার ইজারা কৃত পুকুরে মাছ চাষ করতে তারা বাধা প্রদান করে আসছে। এবং বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষে দেখবাল করতেও বাধা প্রদান করে আসছে। এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে যদি পুকুরে মাছ চাষ করছ বা পুকুরে নামোছ তাহলে বিষ প্রয়োগ করে মাছের ক্ষতি করে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, তার পৈতৃক সূত্রের ৯৪০ দাগের একটি সম্পত্তির উপর দিয়ে নেছার আহমেদ জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তানি প্রশাসনিকভাবে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছে।

বিষয়টি নিয়ে একই বাড়ির সিরাজুল হক মোল্লা, আব্দুল কাদির মোল্লা, আলমগীর হোসেন, হুমায়ুন কবির সহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এসম্পত্তি হাফেজ মোঃ ফজলুল করিমের, পুকুর ইজাড়াও তিনি নিয়েছেন, আর এতক্ষণ ফয়জুল করিম যা বলেছেন তা সবই সত্য। এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই। সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে, যা বর্তমান হাইকোর্ট চলমান।

অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ নেছার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপরে উল্লেখিত সম্পত্তি আমাদের ক্রয়-কৃত সম্পত্তি। এবং ফজলুল করিমের অনেক আগেই আমরা এই সম্পত্তি ক্রয় করি। ফজলুল করিম যাদের থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে তারা এই সম্পত্তির মালিক না বলে তিনি জানান। কিন্তু এ সময় নেছার আহমেদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির কোন দলিল দেখাতে পারেন নি। এবং ফজলুল করিমকে হুমকি ধমকির দেয়নি বলে দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফরিদগঞ্জের দায়চারা গ্রামে ভয়-ভীতি ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় হাফেজ ফজলুল করিম পরিবার

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

ভয়-বিতী ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের মোল্লাবাড়ির মোঃ ফজলুল করিম পরিবার। এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি জিডি রয়েছে, জিডি নং ৮৫৭।

ঘটনার আলোকে দায়চারা মোল্লা বাড়িতে গেলে অভিযোগকারী মোঃ ফজলুল করিম বলেন, তিনি একই বাড়ির ওয়াহেদ আলীর পুত্র অলীমুদ্দিন ও খলিলুর রহমানের দুই পুত্র আব্দুর রব মোল্লা ও মনোহর মোল্লা এবং ভেলুয়া সুন্দরী থেকে মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ৭৫৮ দাগে এক শতাংশ সম্পত্তি সাফকবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৮৪ ৯৪/২৪-০৮-৮৭। এছাড়া আব্দুল মতিন মোল্লা ও আবুল হোসেন মোল্লাদের মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ক্রয় করেন ১ শতাংশ। যার সাপ কবলা দলিল নং ৮৫৬২/২৭-০৮-৮৭। এবং তিনি এই সম্পত্তি দীর্ঘদিন বোঘ-দখল করে আসছেন। এছাড়া বাড়ির এজমালি একটি পুকুর ইজারা দিতে গেলে সেই পুকুরটি তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পায়। এবং চুক্তি মোতাবেক তিনি সেই পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু আমাদের বাড়ির নেছার আহমেদ মোল্লা ও তার ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন সহ তাদের পরিবারের অন্যান্যরা চায়না আমার পরিবার বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তারা আমার ২ শতাংশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এবং ইতিপূর্বে অনেকবার আমাকে মারার চেষ্টাও করেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, তার ইজারা কৃত পুকুরে মাছ চাষ করতে তারা বাধা প্রদান করে আসছে। এবং বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষে দেখবাল করতেও বাধা প্রদান করে আসছে। এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে যদি পুকুরে মাছ চাষ করছ বা পুকুরে নামোছ তাহলে বিষ প্রয়োগ করে মাছের ক্ষতি করে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, তার পৈতৃক সূত্রের ৯৪০ দাগের একটি সম্পত্তির উপর দিয়ে নেছার আহমেদ জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তানি প্রশাসনিকভাবে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছে।

বিষয়টি নিয়ে একই বাড়ির সিরাজুল হক মোল্লা, আব্দুল কাদির মোল্লা, আলমগীর হোসেন, হুমায়ুন কবির সহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এসম্পত্তি হাফেজ মোঃ ফজলুল করিমের, পুকুর ইজাড়াও তিনি নিয়েছেন, আর এতক্ষণ ফয়জুল করিম যা বলেছেন তা সবই সত্য। এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই। সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে, যা বর্তমান হাইকোর্ট চলমান।

অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ নেছার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপরে উল্লেখিত সম্পত্তি আমাদের ক্রয়-কৃত সম্পত্তি। এবং ফজলুল করিমের অনেক আগেই আমরা এই সম্পত্তি ক্রয় করি। ফজলুল করিম যাদের থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে তারা এই সম্পত্তির মালিক না বলে তিনি জানান। কিন্তু এ সময় নেছার আহমেদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির কোন দলিল দেখাতে পারেন নি। এবং ফজলুল করিমকে হুমকি ধমকির দেয়নি বলে দাবি করেন।