ফরিদগঞ্জ ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ফরিদগঞ্জে এতিম ও পথশিশুদের মাঝে ইফতার বিতরণ করলো পুলিশ সদস্য ফরিদগঞ্জের কালির বাজারে স্বপ্ন ছায়া সামাজিক সংগঠনের ইফতার বিতরণ ফরিদগঞ্জে পাবলিক টয়লেট নির্মাণে বাঁধার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন ফরিদগঞ্জে হনুফা খাতুনের মৃত্যুতে শোকের মাতম, দাফন সম্পন্ন ফরিদগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লায়ন আল-আমিনের লিফলেট বিতরণ ফরিদগঞ্জ কে আর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ ফরিদগঞ্জে যুবদলের দ্বি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলন ফরিদগঞ্জে সড়কের কাজে ধীরগতি ।। জনদুর্ভোগ চরমে ফরিদগঞ্জে ‘প্রত্যাশা স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা’র মেধাবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ফরিদগঞ্জের দায়চারা গ্রামে ভয়-ভীতি ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় হাফেজ ফজলুল করিম পরিবার

আমান উল্লাহ খান ফারাবী
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪ ৩০২ বার পড়া হয়েছে

 

ভয়-বিতী ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের মোল্লাবাড়ির মোঃ ফজলুল করিম পরিবার। এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি জিডি রয়েছে, জিডি নং ৮৫৭।

ঘটনার আলোকে দায়চারা মোল্লা বাড়িতে গেলে অভিযোগকারী মোঃ ফজলুল করিম বলেন, তিনি একই বাড়ির ওয়াহেদ আলীর পুত্র অলীমুদ্দিন ও খলিলুর রহমানের দুই পুত্র আব্দুর রব মোল্লা ও মনোহর মোল্লা এবং ভেলুয়া সুন্দরী থেকে মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ৭৫৮ দাগে এক শতাংশ সম্পত্তি সাফকবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৮৪ ৯৪/২৪-০৮-৮৭। এছাড়া আব্দুল মতিন মোল্লা ও আবুল হোসেন মোল্লাদের মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ক্রয় করেন ১ শতাংশ। যার সাপ কবলা দলিল নং ৮৫৬২/২৭-০৮-৮৭। এবং তিনি এই সম্পত্তি দীর্ঘদিন বোঘ-দখল করে আসছেন। এছাড়া বাড়ির এজমালি একটি পুকুর ইজারা দিতে গেলে সেই পুকুরটি তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পায়। এবং চুক্তি মোতাবেক তিনি সেই পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু আমাদের বাড়ির নেছার আহমেদ মোল্লা ও তার ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন সহ তাদের পরিবারের অন্যান্যরা চায়না আমার পরিবার বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তারা আমার ২ শতাংশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এবং ইতিপূর্বে অনেকবার আমাকে মারার চেষ্টাও করেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, তার ইজারা কৃত পুকুরে মাছ চাষ করতে তারা বাধা প্রদান করে আসছে। এবং বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষে দেখবাল করতেও বাধা প্রদান করে আসছে। এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে যদি পুকুরে মাছ চাষ করছ বা পুকুরে নামোছ তাহলে বিষ প্রয়োগ করে মাছের ক্ষতি করে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, তার পৈতৃক সূত্রের ৯৪০ দাগের একটি সম্পত্তির উপর দিয়ে নেছার আহমেদ জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তানি প্রশাসনিকভাবে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছে।

বিষয়টি নিয়ে একই বাড়ির সিরাজুল হক মোল্লা, আব্দুল কাদির মোল্লা, আলমগীর হোসেন, হুমায়ুন কবির সহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এসম্পত্তি হাফেজ মোঃ ফজলুল করিমের, পুকুর ইজাড়াও তিনি নিয়েছেন, আর এতক্ষণ ফয়জুল করিম যা বলেছেন তা সবই সত্য। এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই। সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে, যা বর্তমান হাইকোর্ট চলমান।

অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ নেছার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপরে উল্লেখিত সম্পত্তি আমাদের ক্রয়-কৃত সম্পত্তি। এবং ফজলুল করিমের অনেক আগেই আমরা এই সম্পত্তি ক্রয় করি। ফজলুল করিম যাদের থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে তারা এই সম্পত্তির মালিক না বলে তিনি জানান। কিন্তু এ সময় নেছার আহমেদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির কোন দলিল দেখাতে পারেন নি। এবং ফজলুল করিমকে হুমকি ধমকির দেয়নি বলে দাবি করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফরিদগঞ্জের দায়চারা গ্রামে ভয়-ভীতি ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় হাফেজ ফজলুল করিম পরিবার

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

 

ভয়-বিতী ও দখল চেষ্টা থেকে বাঁচতে চায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের দায়চারা গ্রামের মোল্লাবাড়ির মোঃ ফজলুল করিম পরিবার। এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি জিডি রয়েছে, জিডি নং ৮৫৭।

ঘটনার আলোকে দায়চারা মোল্লা বাড়িতে গেলে অভিযোগকারী মোঃ ফজলুল করিম বলেন, তিনি একই বাড়ির ওয়াহেদ আলীর পুত্র অলীমুদ্দিন ও খলিলুর রহমানের দুই পুত্র আব্দুর রব মোল্লা ও মনোহর মোল্লা এবং ভেলুয়া সুন্দরী থেকে মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ৭৫৮ দাগে এক শতাংশ সম্পত্তি সাফকবলা দলিল মুলে ক্রয় করেন। যার দলিল নং ৮৪ ৯৪/২৪-০৮-৮৭। এছাড়া আব্দুল মতিন মোল্লা ও আবুল হোসেন মোল্লাদের মালিকীয় ও দখলীয় সম্পত্তি হইতে ক্রয় করেন ১ শতাংশ। যার সাপ কবলা দলিল নং ৮৫৬২/২৭-০৮-৮৭। এবং তিনি এই সম্পত্তি দীর্ঘদিন বোঘ-দখল করে আসছেন। এছাড়া বাড়ির এজমালি একটি পুকুর ইজারা দিতে গেলে সেই পুকুরটি তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ইজারা পায়। এবং চুক্তি মোতাবেক তিনি সেই পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু আমাদের বাড়ির নেছার আহমেদ মোল্লা ও তার ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন সহ তাদের পরিবারের অন্যান্যরা চায়না আমার পরিবার বাড়িতে শান্তিতে বসবাস করুক। তাই তারা আমার ২ শতাংশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। এবং ইতিপূর্বে অনেকবার আমাকে মারার চেষ্টাও করেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, তার ইজারা কৃত পুকুরে মাছ চাষ করতে তারা বাধা প্রদান করে আসছে। এবং বর্তমানে পুকুরে মাছ চাষে দেখবাল করতেও বাধা প্রদান করে আসছে। এবং তাকে হুমকি দিয়ে বলে যদি পুকুরে মাছ চাষ করছ বা পুকুরে নামোছ তাহলে বিষ প্রয়োগ করে মাছের ক্ষতি করে ফেলবে। তিনি আরো বলেন, তার পৈতৃক সূত্রের ৯৪০ দাগের একটি সম্পত্তির উপর দিয়ে নেছার আহমেদ জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেখানে বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। তানি প্রশাসনিকভাবে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করছে।

বিষয়টি নিয়ে একই বাড়ির সিরাজুল হক মোল্লা, আব্দুল কাদির মোল্লা, আলমগীর হোসেন, হুমায়ুন কবির সহ আরও কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, এসম্পত্তি হাফেজ মোঃ ফজলুল করিমের, পুকুর ইজাড়াও তিনি নিয়েছেন, আর এতক্ষণ ফয়জুল করিম যা বলেছেন তা সবই সত্য। এলাকায় শান্তি রক্ষার্থে আমরা এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চাই। সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে, যা বর্তমান হাইকোর্ট চলমান।

অন্যদিকে অভিযুক্ত মোঃ নেছার আহমেদ মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপরে উল্লেখিত সম্পত্তি আমাদের ক্রয়-কৃত সম্পত্তি। এবং ফজলুল করিমের অনেক আগেই আমরা এই সম্পত্তি ক্রয় করি। ফজলুল করিম যাদের থেকে এই সম্পত্তি ক্রয় করেছে তারা এই সম্পত্তির মালিক না বলে তিনি জানান। কিন্তু এ সময় নেছার আহমেদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির কোন দলিল দেখাতে পারেন নি। এবং ফজলুল করিমকে হুমকি ধমকির দেয়নি বলে দাবি করেন।