খেলার মাঠে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ফরিদগঞ্জে মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০৯:৫৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ৩৭৪ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জ সংবাদ ডেস্ক
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আন্তস্কুল ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণকারী শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের অন্তত ২১ জন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শোল্লা বাজারে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং শিক্ষকরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকার নির্ধারিত ক্রীড়া কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বিজয়ী হওয়ার কারণে তাদের শিক্ষার্থীদের কুকুরের মতো পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এই ঘটনার জন্য আয়োজক, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, ভ্যানুর প্রধান শিক্ষক কেউই দায় এড়াতে পারে না। বক্তব্য রাখেন, শোল্লা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আরিফুর রহমান, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আবুল হাসনাত নয়ন, দাতা সদস্য আবুল জাফর খসরু মোল্লা,শফিউল আজম শুক্কু, আওয়ামী লীগনেতা আব্দুল মালেক মোহন, ইউপি সদস্য সৈকত মোল্লা , দাতা সদস্য সবুজ পাটওয়ারী, অভিভাবক সদস্য আঃ কুদ্দুস পাটওয়ারী, যুবলীগ নেতা আরিফ চৌধুরী প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আন্তস্কুল ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফুটবল খেলায় ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হয় শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা । নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে খেলা শেষ হয়। পরে, টাইব্রেকারে শোল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ৩-১ গোলে বিজয়ী হয়। এতে তারা আনন্দ উল্লাস করছিল। ওই সময়ে, আনন্দ উল্লাস বন্ধ করে দ্রুত গাড়িতে উঠে মাঠ ত্যাগ করার জন্য কয়েকজন কিশোর ও তরুণ বিজয়ীদের নির্দেশ দেয় ও বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বেশ কিছু সংখ্যক ছেলে শোল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে কয়েক দফায় বেদম মারধর করে। পরে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্য তাদের চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় বুধবার ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে ২ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে মারধরের সঙ্গে উপজেলা সদরের ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল বলে শোল্লা স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিখিত ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।