অতিরিক্ত চাঁদা দাবী করায় ফরিদগঞ্জে শাহী – জোনাকরী বাস চলাচল বন্ধ
- আপডেট সময় : ০৩:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জ- রায়পুর-লক্ষীপুর-ফেনী – চট্রগ্রামগামী শাহী,জোনাকী বাস চলাচল গত বৃহস্পতিবার ( ২৭জুন) সকাল ১১ টা থেকে একটানা গত ৬ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ চালু হবে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। দুর্ভোগে ফরিদগঞ্জ -রায়পুর-চট্টগ্রাম রুটের বাসযাত্রীরা।
তিনগুণ হারে ৬০ টাকা পরিবর্তে ১৮০ টাকা চাঁদা দাবি , মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন নামে অতিরিক্ত চাঁদার দাবীতে বাস মালিকদের সাথে দ্বন্দ্বের কারণে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই রুটে অন্যবাস না থাকায় চরমভোগান্তীতে যাত্রীরা।
জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে ২৬ জুন বুধবার চাঁদপুর জেলার ১২২০ মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা বাবুল মিজিসহ বৈঠকে বাবুল মিজি ৬০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ টাকার সিন্ধান্ত দেন। সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক।
বাস চলাচল না করায় এবং বাস কাউন্টার গুলো বন্ধ থাকায় যাত্রী বিহীন হয়ে পড়েছে ফরিদগঞ্জ বাসস্টেশন । অনেকে সিএনজি করে রায়পুর ও চাঁদপুর গিয়ে বাস ধরতে হয়েছে।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিএনজি,অটোরিকশার ড্রাইভাররা ১০-২০ টাকা করে বাড়তি যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার জানান, আগেও কোন চাঁদা ছিলনা শুধু মাত্র পৌরসভার টোল ২০ টাকা আর পার্কিং এর জন্য ৪০ টাকা দেওয়া হতো।হঠাৎ ২৬ জুন বুধবার ১২২০ মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সবাপতি বাবুল মিজি আরো ১২০ টাকা চাঁদা দাবি করেন মোট ১৮০ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন।
পরিবহনের বাস চালকরা বলেন, আমরা গাড়ি চালালে টাকা পাই। না চালালে পাই না। ৬ দিন ধরে বসে আছি। পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারছি না।
শাহী বাসের মালিক রায়হান বলেন ফরিদগঞ্জ আমাদের কোন লাভ নেই,তেমন কোন যাত্রী নেই,আমাদের পক্ষে ১৮০ টাকা চাঁদা দেওয়া সম্ভব না,এবং তিনি আরো জানান ১২২০ মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের আওতায় আমাদের বাস না,ফরিদগঞ্জে কোন মালিক সমিতি নেই,শ্রমিক ইউনিয়ন নেই তাহলে আমরা কেন চাঁদা দেবো। চাঁদা দিয়ে বাস চালানো সম্ভব না।
চট্রগ্রাম শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি হাজী কফিলউদ্দিন জানান বাস চলে আমাদের আওতায়, চাঁদপুর বাস যায় না,তাহলে তাদের চাঁদা দিবে কেন? তাই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
১২২০ মালিক শ্রমিক ইউনিয়ন চাঁদপুর এর সভাপতি বাবুলমিজি মুঠোফোনে কল করলে ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন,পরবর্তীতে বার বার ফোন করলেও তিনি রিচিব করেননি।