ফরিদগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আবারও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। প্রায়ই এখানে দাগ, খতিয়ান কিংবা নির্ধারিত মৌজার পরিবর্তে অন্য মৌজা দেখিয়ে কিংবা নাল সম্পত্তি দেখিয়ে বহুতল ভবনের দলিল সম্পাদনের ঘটনা ঘটে থাকে। ফলে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সর্বশেষ ঘটনায় ৮ শতাংশ সম্পত্তির দলিলে গ্রহীতার নামে ১৮ শতাংশ উল্লেখ করার প্রমাণ মিলেছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ৬৯৭৪ নং দলিলে দাতা ফাতেমা বেগম (৩ শতাংশ / ০.০৩০০), জাকিয়া বেগম (২ শতাংশ ৫৫ পয়েন্ট / ০.০২৫৫) ও খাদিজা বেগম (২ শতাংশ ৫৫ পয়েন্ট / ০.০২৫৫) মোট ৮ শতাংশ ১০ পয়েন্ট সম্পত্তি বিক্রি করেন। কিন্তু দলিলের গ্রহীতা কলামে রহস্যজনকভাবে ১৮ শতাংশ ১০ পয়েন্ট (০.১৮১০) উল্লেখ করা হয়। ওইদিনই দলিলের নকল কপি সংগ্রহের পর জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আসে।
এ নিয়ে দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তারা দলিল লেখক রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে তিনি দাবি করেন, "শূন্যের জায়গায় এক বসে গেছে। টাইপিং করতে গিয়ে এ ধরনের ভুল হয়েছে।" একইসাথে তিনি দলিল সংশোধনের জন্য ১০-১২ দিন সময় ও ১০-১২ হাজার টাকা দাবি করেন।
অন্যদিকে, রেজিস্ট্রি অফিসের নাইটগার্ড মানিক দলিল দাতাদের আশ্বস্ত করে বলেন, মাত্র ৪ হাজার টাকায় তিনি সংশোধন করে দেবেন।
দলিল লেখক রুহুল আমিন (সনদ নং ৮০) দৈনিক কালবেলাকে বলেন, "এটা নিছক টাইপিং ভুল। তবে ঠিক করতে কিছু সময় ও খরচ লাগবে।"
এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার তানবীর আলম কালবেলাকে জানান,"একটি দলিল সম্পূর্ণ বা অসম্পূর্ণ হয় না। অনেক সময় একাধিক স্থানে ভুল হতে পারে। তবে এজন্য দলিল বাতিল হয়ে যায় না। সংশোধনের নিয়ম রয়েছে।"

প্রকাশক : শামীম হাসান ..
বার্তা প্রধান : খাদিজা তাসনীম
বার্তা কক্ষ : এ আর হাই স্কুল রোড, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
সংবাদ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে যোগাযোগ করুন : 01610970042
faridgonjsongbadonline@gmail.com
ফরিদগঞ্জ সংবাদ