ঘুষের টাকা কম হওয়ায় নিয়োগ বাতিল
- আপডেট সময় : ০৫:২৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগকান্ডে চাহিদা মত ঘুষ নাপাওয়ায় নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।
মাদ্রাসার নিরাপত্তা কর্মী পদে নাছির আহমদ কে নিয়োগ প্রদান করা হবে বলে ঘুষের টাকা নেয় স্থাণীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক ও মাদ্রাসা গর্ভোনিং বডির সভাপতি কিশোর মাস্টার। সে টাকার অংক ধীরে ধীরে বৃদ্বি করতে থাকে প্রতারক কিশোর মাস্টার ও ফজলুল হক। নিরাপত্তা কর্মী পদে চাকরি প্রার্থী নাছির আহমদের পিতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি ফজল ( ফজলুল হক) মেম্বারের কথা অনুসারে কিশোর মাস্টারের কাছে গেলাম। তিনি আমার কাছ থেকে ১লক্ষটাকা চেয়েছে, আমি ১লক্ষ টাকার স্বাীকারোক্তি গিয়েছি, ১লক্ষ টাকা দিমু আমার ছেলের চাকরি হলে। পরে ১০-১২ দিন পরে আমাকে ফোন দিয়ে কইলো তোমার দেড় লক্ষটাকা দিতে হবে। তারপরে আমি দেড়লক্ষ টাকা দিয়েছি। দেড়লক্ষ টাকা দিয়ে আমার ছেলে যখন পরীক্ষা দিতেছে, তখন আমাকে বলে ২লক্ষ টাকা দিতে, নদিলে চাকরি দেওয়া যাবেনা। আমি বললাম স্যার আমি ২লক্ষ টাকা কোথাই থেকে দিবো এটাইমে, তখন একজন বলল ঠিক আছে তুমি ২০হাজার টাকা কম দাও। আমার ছেলে যখন পরীক্ষা দিয়েছিল ,তখন সবাই আমায় বলেছে তোমার ছেলের রেজাল্ট ভালো হয়েছে মিস্টি খাওয়াও। যারা তোমার ছেলের সাথে পরীক্ষা দিয়েছে তাদের নাস্তা খাওয়াও। বিকালে মাদ্রাসার সভাপতি কিশোর মাস্টার বলে তোমার ছেলে ফেল করেছে। কাগজ পত্রে ভুল চাকরি হবেনা।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুর রহিম মিয়া বলেন, কিন্তু কাগজপত্রে সঠিক নাথাকার কারনে তার নিয়োগ বাতিল করা হয় । কাগজপত্র ভুল হলে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করলো কিভাবে জানতে চাইলে, এপ্রশ্নের উত্তর দেননি।
স্থাণীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হক ঘুষ লেনদেনের কথা স্বীকার করে বলেন , দেলুর (দেলোয়ার হোসেন) এর টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার গভনিং বডির সভাপতি কিশোর মাস্টার বলেন, টাকা আমি নেই নাই, ফজল মেম্বার আমাকে একলক্ষ টাকা দিয়েছে।